চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: আগামী সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নাগরিক কমিটির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নারিকেলগাছ প্রতীকের জিয়াবুল হকসহ বেশির ভাগ কর্মী উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। এতে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর আর কোনো বাধা রইল না। আজ বুধবার উচ্চ আদালত থেকে তারা ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন।
এদিকে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হকের শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট দেন।
প্রসংগত, গত সোমবার দুপুরে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর (বর্তমান মেয়র) পক্ষে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর সময় তাঁর তিন কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ এনে চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন। নৌকার প্রার্থী নিজে বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক ও তাঁর কর্মী ১৬ আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে ওই দিনই থানায় মামলা রুজু করেন।
আগাম জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. শাহীন হাওলাদার আজ রাতে চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘চকরিয়া থানায় রুজু হওয়া মামলায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াবুল হকসহ ১২ জনকে আগাম জামিন দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ারের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।’
এদিকে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হকসহ অন্যরা উচ্চ আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে ফটোসেশন করেন। সেই ছবি নিজের ফেসবুক পেইজে দিয়ে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এই বিজয় প্রাথমিক বিজয়। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য আমার জীবন থাকতেও নির্বাচন থেকে পিছ পা হব না।’
পাঠকের মতামত: