গত ১২ ঘন্টায় প্রায় দুইশ কিলোমিটার সামনে এগিয়ে এখন কক্সবাজার থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্হান করছে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানো। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড় ক্রমশঃ শক্তিসঞ্চয় করে এগিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নং স্হানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও সম্ভাব্য দূর্যোগ পরিস্হিতি মোকাবেলায় কক্সবাজারের সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে কর্মস্হলে উপস্হিত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, ঘুর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকাল এগারটায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল থেকে জেলাশহরসহ উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কক্সবাজারে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায়
দক্ষিন বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানান, কক্সবাজারসংলগ্ন গভীর সাগরে মৎস্য আহরণে যাওয়া ফিশিংবোট গুলো বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফিরে আসছে। বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট এ নিম্নচাপের ফলে কক্সবাজার জেলায় জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় এবং পরবর্তী পরিস্হিতি মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্ট কর্মী, মেডিকেল টীম ও উদ্ধার কর্মী নিয়োজিত রাখা হয়েছে ও উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: