ডেস্ক রিপোর্ট ::
তিন বছর ধরে নাবালক ছাত্রের সঙ্গে শতাধিকবার বেশি যৌন সঙ্গমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক শিক্ষিকাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকার নাম হেদার উইনফিল্ড।
তিন সন্তানের মা ৩৮ বছর বয়সী হেদারের বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়স থেকে ওই কিশোরকে জোর করে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে স্বয়ং ওই ছাত্র। আর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দামি উপহারের লোভ দেখিয়ে নাবালক ছাত্রটিকে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করতেন হেদার। দিনের যে কোনও সময়ে এই কাজ করতেন তিনি।
বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ওই কিশোরের অভিযোগ, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রথম তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করেন ওই শিক্ষিকা। তারপর তাকে অনেক দামি দামি উপহার কিনে দেন।
ওই ছাত্র ১১ বছর বয়স থেকে কমপক্ষে ১০০ বার ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়। বিনিময়ে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে টেনিস খেলার জুতো, বাইক, মাছ ধরার ছিপসহ নানা উপঢৌকন পেয়েছে সে। গিফট দেয়ার পাশাপাশি ওই শিক্ষিকা ফ্লোরিডা ও টেনেসিতে নিজের পরিবারের সঙ্গে ঘুরতেও নিয়ে গেছে তাকে। বেড়াতে নিয়ে গিয়েও ওই শিক্ষিকা ছাত্রটিকে যৌন সঙ্গম করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষিকার নগ্ন ছবি ও তার সঙ্গে যৌন সঙ্গমের ভিডিও এখনও কিশোরটির কাছে আছে।
কখনও কখনও আরেকজনকে ডেকে নিয়ে এসে তিনজনে মিলে যৌন সঙ্গম করত বলেও জানিয়েছে কিশোরটি।
বিষয়টি জানাজানি হতেই মিশিগানের আলপেনা এলাকার থান্ডার বে জুনিয়র হাই স্কুল থেকে প্রথমে সাসপেন্ড ও পরে বহিষ্কার করা হয় হেদার উইনফিল্ডকে। যদিও, তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
এ প্রসঙ্গে মিশিগানের পুলিশ প্রধান জানান, ওই কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এরপরই ওই শিক্ষিকা তিন মাসের জন্য একটি হোটেলের ১৬টি ঘর বুক করেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেখানে দিনে ১০ থেকে ১২ বার শিক্ষিকাটি ওই কিশোরের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতেন বলে জানা গেছে।
যদিও, এই অভিযোগ কথা অস্বীকার করেছেন হেদারের আইনজীবী। তার দাবি, ওই কিশোরটিকে দত্তক নেওয়ার চিন্তা করছিল হেদার ও তার স্বামী। পরে ছেলেটির ব্যবহার দেখে তারা সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেন। এর প্রতিশোধ নিতেই ওই কিশোর এই ধরনের অভিযোগ এনে তার মক্কেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
পাঠকের মতামত: