ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তীব্র গরমে জনজীবন স্থবির

1432401641_p-11এম.এ আজিজ রাসেল ::

তীব্র গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাথার ওপরের নীল আকাশটা যেনো তাঁতালো কড়াইয়ের রূপ নিয়েছে। প্রকৃতি যেনো তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। অগ্নিক্ষরা দহনে নিসর্গ প্রকৃতিটা তামাটে বর্ণ ধারণ করছে। গরম বাতাস শরীরে বিধছে আগুনের হলকার মতো। সূর্যের প্রখর কিরণে খালি মাথায় বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। লু হাওয়ায় হাঁপিয়ে উঠেছে পশু-পাখিরাও। তাপমাত্রার পারদ কেবল উপরেই উঠছে। গতকাল ২৮ এপ্রিল আবারও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের নাজমুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছলে জনজীবন অসহনীয় হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ওষ্ঠাগত গরমে কর্মজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর উপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার অধিকাংশ এলাকায়ই রয়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। ফলে যারপরনাই ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রখর রোদ থেকে ঘরে ফিরে গরমে ছটফট করছেন সবাই। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে এস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে মসজিদে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুরুল আলম জানান, তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এসব রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে। এ সময় বৃদ্ধ ও শিশুদের রোদে না বের হয়ে ঠাণ্ডা পরিবেশের মধ্যে থাকার জন্য বলেন। এছাড়া ডাব, বিশুদ্ধ পানি পান ও দেশী ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

পাঠকের মতামত: