দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী নবম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিকাল ৩টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী সম্মেলনের সমাপনী দিন রবিবার ভাষণ দেবেন।
বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ঢাকায় এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। আয়োজনের সহযোগিতা করেছে- ভারতের ‘রিসার্স এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিস’ (আরআইএস), নেপালের ‘সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনোমিক্স এন্ড ইনভারনমেন্টস্’ (এসএডব্লিউটিইই), পাকিস্তানের ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনিস্টিটিউট’ (এসডিপিআই) এবং শ্রীলংকার ‘দি ইনিস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ অফ শ্রীলংকা’।
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার একশয়েরও বেশি বক্তা ‘রিমেনিং সাউথ এশিয়া ইন ২০৩০’ লক্ষ্যমাত্রা সংক্রান্ত ৪টি প্লেনারি ও ৯টি পেরালাল অধিবেশন বক্তব্য রাখবেন।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে এই সম্মেলন।’
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের কেমন দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চাই সেই ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। বিভিন্ন সেশনে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্র নিয়েও আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সমস্যা ও এখানকার আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০০৮ সালে সাউথ এশিয়া ইকোনমিক সামিটের (এসএইএস) যাত্রা শুরু হয়।
পাঠকের মতামত: