আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক ::
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে ‘ফোনালাপ’ এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় আইসিটি আইনে এই মামলাটি করেন।
এই মামলায় এত দিন জামিনে ছিলেন খসরু। আজ আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আজ রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাড়ানোর আবেদনের বিরোধিতা করেন। আদালতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন উপপরিদর্শক এসআই সঞ্জয় গুহ ফোনালাপের অডিওটি বাজিয়ে শোনান। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে খসরুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে এখন সরকারি প্রতিহিংসার প্রবল প্রতাপ চলছে। এই প্রতিহিংসার ছোবলে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল, ভিন্নমত ও বিশ্বাসের মানুষদের ক্ষতবিক্ষত করছে। আজ তারই একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, ‘নব্যবাকশালী শাসনের অন্তরায় মনে করেই আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার জন্য সরকার নানা ফন্দি এঁটে চলছে এবং এ জন্য দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার হিড়িক ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের মহা তৎপরতা চলছে।’
ফখরুল ইসলাম বলছেন, ভোটার বিহীন একতরফা নির্বাচন করার জন্যই বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন শাসকগোষ্ঠী জনমতকে তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী সরকার জনগণকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে। বর্তমান রাষ্ট্রের সকল অঙ্গকে করায়াত্ত করে সরকার নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য জনগণ যে আবশ্যিক নিয়ামক, সে কথাটি সরকার ভুলে গেছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য সরকর দেশে বিভেদ-বিভাজন, সহিংসতা-সংঘাত, কুৎসা ও বিদ্বেষ জিইয়ে রাখছে। অনাচারের ওপর নির্ভর করেই সরকার টিকে থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু তাতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তিনি আরও বলেন, মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের সকল অপকর্মের জবাব দিতেই জনগণ পথে-পথে ব্যারিকেড তৈরি করবে। বিএনপিসহ দেশবাসীকে ভয় দেখানোর অপকৌশল হিসেবেই আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই আশা পূর্ণ হবে না। প্রতিটি গ্রেপ্তারই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশি উদ্দীপ্ত ও অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: