“ছেলে আহমেদ মীর কাশেমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে ২২ দিন আগে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। স্বামী প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাবেন কিনা- ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।”
আজ বুধবার দুপুরে স্বামী মীর কাশেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।
আয়েশা খাতুন জানান, ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ মীর কাশেম তার স্বামীর আইনজীবী প্যানেলের সদস্য। এ ছাড়া তিনি পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্তের আগে তিনি ছেলেকে ফেরত চান। ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। যতক্ষণ সময় আছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে চান। সময় শেষ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। ছেলেকে ফিরে পেতে তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন।
এ সময় গাড়িতে থাকা দুই নাতিকে দেখিয়ে আয়েশা খাতুন বলেন, “শিশু দুটি তাদের বাবার জন্য কাঁদছে। বাবাকে ফিরে পেতে চাচ্ছে।”
আয়েশা খাতুন আরো বলেন, “বাবার জীবনের শেষ মুহূর্তে ছেলের কাছে থাকা একান্ত দরকার। ছেলেকে না পেলে মনের সন্তুষ্টিতে তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে পারব না।” তিনি বলেন, “সাক্ষাত করতে গেলে স্বামী মীর কাশেম আলী আমাকে বলেছেন, ‘আমি অপেক্ষা করছি ছেলের জন্যে। তাকে পাওয়া গেলে সিদ্ধান্ত নিব রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হবে কি না’। সাক্ষাত শেষে বিষয়টি আমরা জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসেছি।”
কাশেম আলীর স্ত্রী আরো বলেন, “আজ সাক্ষাত করতে এসেছিলাম তাঁর শেষ কাজগুলো কীভাবে সম্পন্ন করবো সে বিষয়ে পরামর্শ করতে। এটা শেষ দেখা নয়।”
এর আগে বেলা ২টার দিকে অতি গোপনে ও কঠোর নিরাপত্তায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মূল ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন আয়েশা খাতুনসহ পরিবারের ১০ সদস্য। সাক্ষাত করতে আসা অন্যরা হলেন, দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসমিম, দুই পুত্রবধূ সাহেদা তাহমিদা ও তাগমিনা আক্তার, ভাতিজা হাসান জামিল এবং চার নাতনি। প্রায় এক ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে তারা আবার অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যান।
পাঠকের মতামত: