ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চক্রের প্রধান হোতা মেহেদী আটক, ৭টি গাড়ি উদ্ধার।। ইয়াবার বদলে চোরাই গাড়ি

atokটেকনাফ প্রতিনিধি :::

চোরাই গাড়ি ক্রয়বিক্রয় চক্রের প্রধান হোতা ও ইয়াবা গডফাদার খ্যাত টেকনাফের মেহেদী হাসান মেহেদী অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের জালে আটকা পড়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম দীর্ঘ নজরদারি শেষে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাকে টেকনাফের একটি দোকান থেকে আটক করে। সে টেকনাফ পৌরসভার নাইটং পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, ৭ টি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গাড়ির মধ্যে একটি কার (ঢাকা মেট্রোগ ১৪৬১১৬) ও ৬ টি নোহা মাইক্রো। গাড়িসহ আটক মেহেদীকে বুধবার বিকেলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটক মেহেদী টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইয়াবা নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে সে সখ্যতা গড়ে তোলে রাজধানীসহ দেশের চোরাই গাড়ি চোর চক্রের সাথে। এ চক্রে মেহেদী ছাড়াও টেকনাফ নাজিরপাড়ার একজন এবং দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার একজন যুক্ত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইয়াবার বদলে চোরাই গাড়ি দিয়ে যায় চক্রটি। মেহেদী এসব চোরাই গাড়ি টেকনাফে বসে বিক্রি করতে থাকে। এসব চোরাই গাড়ি দিয়ে টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে থাকে এরা। এক সময় ইয়াবাসহ মেহেদী আটক হলেও পরে জামিনে বের হয়ে আসে। ইয়াবা পাচারের চেয়ে মেহেদীর পরিচিতি বেড়ে যায় গাড়ি আমদানিকারক হিসেবে। মেহেদী যে চোরাই গাড়ির আমদানীকারক তা সংশ্লিষ্টরা জানলেও এতোদিন ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করে সে। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত রহমান মিথুন জানান, চোরাই গাড়ি চক্রের সদস্য মেহেদী হাসানকে ৭টি গাড়িসহ আটক করা হয়েছে। ঢাকায় পৌঁছে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, বেশ কিছুদিন থেকে ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেহেদীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে চোরাই গাড়িসহ আটক করে।

 

পাঠকের মতামত: