ছবির ক্যাপশন: বিজয়ী মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে নুর হোসেন (গোলাকার চিহিৃত)
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে চকরিয়া পৌরসভার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন যথাক্রমে আওয়ামীলীগের আলমগীর চৌধুরী, নাগরিক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক, জাতীয় পাটির (এরশাদ) মনোনীত মনোয়ার আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফয়সাল ছিদ্দিকী ছাড়াও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৪ জন প্রার্থী ভাটযুদ্ধে ছিলেন।
জানা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বসাধারণ তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করেছেন। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে যে যার মতো সরব থেকে কাজ করলেও চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার নুর হোসেন এর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
তাদের দাবি, সাবেক কমিশনার দখলবাজ নুর হোসেন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই জয়নাল আবেদিন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। আবার তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলাও রয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গত ১১ এপ্রিল চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষনার আগে সাবেক কমিশনার নুর হোসেন বিশেষ মহলের অনুকম্পায় চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীও হন। মনোনয়ন সংগ্রহ করে নির্বাচনী মাঠে নামলেও ভোটার ও সাধারণ জনগন তাঁর পাশে নেই এমন অবস্থা দেখে পরে কৌশলে ও রহস্যজনকভাবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, নুর হোসেন কাউন্সিলর পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেও অনুষ্ঠিত নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর বিপক্ষে গিয়ে ভোটের মাঠে কাজ করেন। এমনকি তিনি এলাকায় অন্য এক মেয়রপ্রার্থীর জন্য প্রকাশ্যে কাজও করেন।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নুর হোসেন তাঁর পছন্দের প্রার্থীর জন্য কাজ করেছেন সেটি তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু সেই তিনি নির্বাচনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর সকালে অনেকটা ভোল্ড পাল্টিয়ে বিজয়ী আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেয়র আলমগীর চৌধুরীর কাহারিয়াঘোনাস্থ বাড়িতে গিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানো ঘটনায় হতবাক হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়াও একইদিন বিকালে ১নং ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া স্টেশনে আসলে মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী এবং সর্বসাধারণ। ওইসময়ও নুর হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, নিজের সুবিধা আদায়ের জন্যই মুলত নুর হোসেন প্রথমে অন্য মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। পরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বিজয়ী হলে রাতারাতি ভোল্ড পাল্টিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে নতুনরূপে আবির্ভুত হন এই নুর হোসেন। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ডিগবাজ সুবিধাভোগী এইধরণের চরিত্রের মানুষ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, রাজনীতি এবং সমাজনীতিতে আর্দশ ঠিক রাখতে হলে এই ধরণের মানুষকে বয়কট করতে হবে। নইলে সবাইকে ভুলের মাশুল দিতে হবে।
পাঠকের মতামত: