ঢাকা,বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুলিশের হস্তক্ষেপে ভন্ডুল

চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ছাবেতপাড়ায় জমি দখলের চেষ্ঠা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ছাবেতপাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে মাটি ফেলে অন্যের ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্ঠা চালিয়েছে স্থানীয় একটি দখলবাজ চক্র। ওইসময় খবরপেয়ে ভুক্তভোগী জমি মালিক চকরিয়া থানার ওসির কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশের হস্তক্ষেপে দখলচেষ্ঠা ভন্ডুল হয়ে গেছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে ঘটেছে জমি দখলচেষ্ঠার এ ঘটনা।

ভুক্তভোগী জমি মালিক চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ছাবেতপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে জমির উদ্দিন মেস্ত্রী জানান, দুইবছর আগে তিনি রেজিস্ট্রিমুলে পৌরসভার লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস ৪৮০ নং খতিয়ানের বিএস ১৯৬ দাগের আগের মালিক থেকে ১৪ কড়া জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে তিনি উল্লেখিত জমি শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে আছেন।

জমির উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, আগের মালিক থেকে তাঁর জমি লাগোয়া বেশ কিছু জমি ক্রয় করেন চট্টগ্রামের পটিয়ার ফখরুল ইসলাম কফিল নামের একব্যক্তি। এরপর কফিল পাশাপাশি আমার ক্রয়কৃত ১৪কড়া জমি প্রথমে ক্রয় করার প্রস্তাব দেন। তাতে আমি রাজি হইনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফখরুল ইসলাম কফিল সহযোগি লোকজনের মাধ্যমে নানা কায়দায় আমার জমি দখলের চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে আমি ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয়।

সর্বশেষ আমার জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ফখরুল ইসলাম কফিল বাদি হয়ে উল্টো কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা (১৩৯৬/২০) দায়ের করে। এতে আমি জমির উদ্দিন মেস্ত্রী এবং আমার পরিবার সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ হাছান, মোহাম্মদ হোছন, মনির উল্লাহ ও মোহাম্মদ নুরুল্লাহসহ পাঁচজনকে আসামি করে। আদালত বিরোধীয় জমিতে কোনধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেন। মামলার প্রেক্ষিতে চকরিয়া থানার ওসির নির্দেশে এসআই মো.কামরুজ্জামান নোটিশ দিয়ে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে দেন।

জমি মালিক জমির উদ্দিন বলেন, আমি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা থেকে বিরতি থাকি। আইনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু বাদি ফখরুল ইসলাম কফিল মামলা করেও আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার জমি দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রাখে। এরই জেরে সর্বশেষ শনিবার রাতে বাদি কফিলের চাচা, জমির চাচা আনিস, তার ছেলে আজগর ও স্থানীয় কাউন্সিলর মকছুদুল হক মধুর ভাতিজা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাটের মাধ্যমে আমার জমি দখলে নামে।

ওইসময় খবরপেয়ে আমি চকরিয়া থানার ওসির কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশের হস্তক্ষেপে দখলচেষ্ঠা ভন্ডুল হয়ে গেছে। তারপরও ক্রয়কৃত জমিটি দখলবাজ চক্রের কবল থেকে রক্ষা করতে পারবে কী না তা নিয়ে চরম আতঙ্কে ভুগছেন ভুক্তভোগী। এব্যাপারে জমি মালিক জমির উদ্দিন মেস্ত্রী বিজ্ঞ আদালত ও চকরিয়া থানার ওসির কাছে দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নিতে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

 

পাঠকের মতামত: