ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সঠিক তদারকি ও অব্যবস্থাপনায় জলমহাল নিলাম হলে সরকার হারাবে অর্ধকোটি টাকা

চকরিয়া অফিস ::   জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সঠিক তদারকি ও অব্যবস্থাপনার কারনে মৎস্যজীবি সমিতির অনুকুলে নিলামে নিয়ে জলমহাল হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী মহল। নিলাম নিয়েই খালের শ্রেণী পরিবর্তন, টেন্ডারে নিকোজিশন প্রথার কারনে জলমহাল নিলামে সরকার কয়েক লাখ টাকা হারাতে বসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চকরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় কর্তৃক ১২ জলমহাল নিলামে এমন অব্যবস্থাপনার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইতিপূর্বে নিলাম গ্রহিতা কর্তৃক খালের শ্রেণী পরিবর্তন করে চিংড়ী ঘেরের সাথে সম্পৃক্ত করন করে নিলাম গ্রহিতাকে অনাগ্রহ সৃষ্টি এবং নিকোজিশন প্রথার কারনে প্রতিবছর সরকার অন্তত অর্ধকোটি টাকার লোকশান গুনছে বলে জানা গেছে। রাজস্বখাতে লোকশান বন্ধে নিলাম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন নিলাম ডাকে আগ্রহীরা।
সরেজমিনে চকরিয়ার খুইজ্জাখালী জলমহাল, পরানতরানি ও চিলখালী খালে গিয়ে দেখা যায়, ইতিপুর্বে নিলাম গ্রহিতারা সকলেই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা খালের অধিকাংশ এলাকা বাধঁ দিয়ে ভাগ করে নিয়ে আলাদা চিংড়ী ঘের তৈরী করে রেখেছে। সরকারের টেক্স ফাঁকি দিতে ২/৩/৪ একর করে সরকারের নিলামের জন্য রেখেছে। অথচ প্রত্যেকটি খাল নির্দিষ্ট ৯.৫০ ও ৭.৫০ একর করে কাগজে বিদ্যমান। জবর দখলের ফলে এবং কাগজ মুলে মাঠে ময়দানে মিল না থাকায় আগ্রহী প্রকৃত মৎস্যজীবিরা নিলাম ডাকে আগ্রহী হলে ও পারছেন না। ফলে জবর দখল কারীরা ৩ লাখ টাকার স্থলে ১লক্ষ টাকা, ৫ লাখে শ্রেফ ১২ হাজারে নিলাম হচ্ছে। অন্যদিকে কেউ নিলামের জন্য ফরম কিনলেও ভয়ভীতি ও টাকার লোভে ফেলে ফরম কিনে নিচ্ছে। ফলে এখাতে ১২ টি জলমহালে সরকার হারাবে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা।এ ব্যাপারে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মৎস্যজীবিরা।

পাঠকের মতামত: