জহিরুল আলম সাগর, চকরিয়া ::
করোনা সংক্রমণের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আটার ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনপদের ৬ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিধিনিষেধ ও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৬ জুলাই) চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রাহাত উজ জামান লকডাউন কার্যকরে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে মনিটরিং করেছেন।
এদিকে, মাঠ তদারকির পাশাপাশি লকডাউন কার্যকরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এবং মো.রাহাত উজ জামান সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপেক্ষার দায়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালত চকরিয়া পৌরশহরে এবং উপজেলার বিভিন্ন জনপদে লকডাউন লঙ্ঘনের অপরাধে মোবাইল কোর্টে ১৩টি মামলার বিপরীতে ২২হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করেছে। মূলত করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা না মেনে নিয়মের বাইরে দোকান খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক পরিধান না করার কারণে আদালত ১৩ টি মামলায় উল্লেখিত টাকা জরিমানা করেন।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওইসময় স্বাস্থবিধি অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১৩টি মামলায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে ২২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রাহাত উজ জামান, পৌরসভার কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, থানা পুলিশ, আনসার সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী। ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মতে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ও লকডাউন বিধি মেনে চলতে আহবান জানান।
পাঠকের মতামত: