কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহাসড়কের মালুমঘাট দরগাহ গেইট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মহিলাসহ ১৫জন আহত হয়েছে। তন্মধ্যে চালক ও এক যাত্রীর অব¯’া সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দরগাহ গেইট এলাকায় বালি বোঝাই একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কক্সবাজার থেকে চকরিয়ামুখি চকরিয়া সার্ভিসের যাত্রীবাহী একটি বাস ট্রাকের পেছন দিকে দ্রুত এসে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হয় ১৫ জন। আহতদের মধ্যে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকার বাসিন্দা ঠান্ডা মিয়ার ছেলে বাসচালক আবু ছৈয়দ (৩৫) ও বান্দরবানের লামার উপজেলার মষ্টার পাড়ার সুপর্দ বড়ুয়ার ছেলে মিলন কান্তি বড়–য়া(৩৪) এর অব¯’া আশংকাজনক। তাদের প্রথমে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিলেও সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর আহতদের মধ্যে মালুমঘাট খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়ার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০), বরইতলীর পহরচাঁদার মনজুর আলমের স্ত্রী শিরিনা পারভেজ (২৮), ডুলাহাজারা ডোমখালীর জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ জাহেদ (৩০), সাহারবিল চোয়াফাঁড়ির ফরিদুল আলমের ছেলে আবদুল মান্নান(২৮)। চকরিয়া উপজেলা স্বা¯’্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে, চকরিয়ার খুটাখালীর মেধাক”ছপিয়ার এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), সাহারবিল রামপুর এলাকার কবির আহমদের ছেলে আলাউদ্দিন (৩২), পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর গুরামিয়ার ছেলে আবুল হাশেম (৪৭) টৈটং এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে আতিকুর রহমান (৬০), মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার আবুল কালামের স্ত্রী সাকেরা বেগম (৪০), একই এলাকার যথাক্রমে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৩৫), তার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৮), নুরুল আলমের স্ত্রী জন্নাতুল জোবরা (৪৫), নুরুল আলমের ছেলে শওকত আলী (২৮)। আরো তিনজন ¯’ানীয় প্রাইভেট চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। উল্লেখ্য সড়কে একই ¯’ানে মাত্র ৩৬ ঘন্টা পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৯জন আহতের ঘটনা ঘটে।
পাঠকের মতামত: