ঢাকা,রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে অন্যরকম মিলন মেলা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে সুর্বণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করেছে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবটি আয়োজন করা হয়।
গতকাল রোববার সকাল ১০ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উৎসবে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবুতর উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধনের পর বের করা হয় আনন্দ র‌্যালী এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির এবং প্রাক্তন ছাত্র শোয়াইবুল ইসলাম সবুজ ও তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলার জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল হক। প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন জাতিসত্তার কবি নুরুল হুদা।
প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহমদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নাসিম হাসান আজাদ, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এইচএম শহিদুল্লাহ চৌধুরী, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ, সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের শিক্ষক কবি ইব্রাহিম মুহাম্মদ, প্রথম আলোর সাংবাদিক এস এম হানিফ, সাংবাদিক কেএম নাছির উদ্দিন, সাহারবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের প্রচার উপপরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হুদা, শৃঙ্খলা উপ পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোরশেদ প্রমুখ।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের পুরাতন স্মৃতি হাতড়িয়ে বেড়িয়েছেন। অনেকেই ৪০-৫০ বছর পর বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এসেছেন। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। তাঁদের মধ্যে কত কথা। কত স্মৃতির রোমন্থন। সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়। তারপরও জমে থাকা কথা, আড্ডা যেন শেষই হয় না।
অনুষ্ঠানের শেষ বিকেলে চট্টগ্রাম ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন অনেক শিক্ষার্থীও কিছুক্ষনের জন্য গানে মেতে উঠেন।

 

পাঠকের মতামত: