নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণেিত পড়ুয়া ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়া ও প্রতিবাদের জেরে বখাটে কর্তৃক চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের চরন্দীপ ভূমিহীন উপকুলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিনের উপর ধারালো অস্ত্রদিয়ে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ এ মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত: শুক্রবার রাতে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় মো. সালেহ উদ্দিন (৪০) নামের ওই শিক্ষককে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করেছে একদল বখাটে। আহত সালেহ উদ্দিন চরণদ্বীপ উপকূলীয় ভূমিহীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ইউনিয়নের হাজী মৌলানা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আহত শিক্ষকের ভাই মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো স্থানীয় আবদুল হাফেজের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে ৪-৫ জন বখাটে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েববার সালিস-বিচারও হয়েছে। গত একসপ্তাহ আগেও একই ঘটনা ঘটলে আবারও সালিশ হয়। সালিশে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় বখাটে ইব্রাহিম খলিল।
কিন্তু এ ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সালেহ উদ্দিন স্থানীয় ফুলকাটা সড়কের মাথায় পৌঁছলে বখাটে ইব্রাহিম ও খলিলের নেতৃত্বে ৪-৫ জন বখাটে অতর্কিত হামলা করে। বখাটের দল ওই শিক্ষককে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করে। এ সময় সালেহ উদ্দিনের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত বখাটেদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: