এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে বদরুল আমিন (৪১) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে চকরিয়া উপজেলা সদরের চিরিঙ্গা জনতা শপিং কমপ্লেক্স এলাকা থেকে র্যাব-১৫ এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত বদরুল আমিন চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পুর্ব কোনাখালী সিকদারপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে র্যাব-১৫ এর একটি টিম জনতা শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে সে স্বীকার করে যে, তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত এবং তার কাছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র রয়েছে।
এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে মোট ৬টি বিভিন্ন ধরণের আবেদনপত্র (যার ০১টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া-২ শাখা, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা স্মারক নং ৩৪.০০.০০০০.০৮০.৯৯.০০১.২৩.১৮৭ তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ, যাতে বিষয়-ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদানের জন্য আবেদন আহ্বান করে ১৬টি বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ আছে) জব্দ করা হয়।
এসব আবেদনের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি মঞ্জুরীপ্রাপ্তির নামে প্রতারণায়যুক্ত চক্রের মূলহোতা হিসেবে কাজ করছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বদরুল জালিয়াতি ও প্রতারণা চক্রটির মূলহোতা। তিনি চকরিয়া উপজেলার বহদ্দারকাটা চাইল্ড কেয়ার স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমানে চাকুরীচ্যুত হয়ে বিভিন্ন কৌশলে সরকারি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়া নাম-পরিচয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মঞ্জুরীপ্রাপ্তির নামে প্রতারণা করে আসছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃত বদরুল চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া ও জাল আবেদনপত্র তৈরী করতঃ নিজ নামে কিংবা অন্যদের নাম ব্যবহার করে নিজে স্বাক্ষর করে এ সকল ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে জব্দকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত বদরুল আমিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: