চকরিয়া প্রতিনিধি ::
জাতীয়ভাবে ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’র। খোদ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও র্যাব মহাপরিদর্শক মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে বন্দুক যুদ্ধে সারাদেশে অন্তত অর্ধ শত মাদক অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। যার সুফল এখন দেশের জনগন পাচ্ছে। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ স্থান থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
চকরিয়ায় গত ১লা রমজান থেকে আগামী ১১ রমজান পযর্ন্ত ১০দিন ব্যাপী থানা পুলিশ মরণনেশা ইয়াবা, মাদক, জুয়াসহ অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করলেও তেমন বড় কোন ধরনের অভিযান দেখা মেলেনি। অভিযানে পুটি শিকার হলেও বোয়াল কিন্তুু নিজ অবস্থানেই রয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌরশহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক স্থানে অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। কোন ভাবেই তাদের দমানো যাচ্ছে না। এলাকা ভিত্তিক এসব ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক অভিযানের পরও অবাধে চলেছে তাদের মাদকের বাণিজ্য। বর্তমানে শহরে বিভিন্ন স্পটে ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন এখনো থেমে নেই।
চকরিয়া উপজেলার ২০টি ও একটি পৌরসভা সদর থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের প্রতিটি এলাকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়ারা ব্যবসা। রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী ও যুবকরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ ইয়াবা ব্যবসায়।
অবৈধ ইয়াবার গডফাদার সিন্ডিকেট মূল হোতাদের অবস্থান এখন চক্ষু আড়ালে। এমনকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অনলাইন পোর্টালের মালিক ও বিভিন্ন স্থানীয় সাংবাদিকের পরিচয় বহনকারী ও নারীদের বড় একটি অংশও ইয়াবা ব্যবসায় ওত প্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না ইয়াবা পাচার।
কারণ প্রশাসনের কিছুসংখ্যক দালালের দৌরাত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পুরোদমে সফল হয়না। দালালচক্রের সখ্যতা রয়েছে ইয়াবা গডফাদারের সাথে। ইতিপূর্বে চকরিয়া উপজেলায় বেশকটি অভিযানে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। পাশাপাশি থানা পুলিশও বসে নেই। তাদের হাতেও নিয়মিত ধরা পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবার চালান। তারপরেও প্রতিযোগিতামূলকভাবে পাড়া-মহল্লায় পাল্লা দিয়ে চলছে ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য।
চকরিয়া উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী , চেয়ারম্যান, মেম্বার, সংবাদকর্মীসহ অনেক জনপ্রতিনিধি সরাসরি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে। উপজেলার আইন শৃংখলা রক্ষাকারী পুলিশ প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে তাদের অবস্থান।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ইয়াবা উদ্ধারের অভিযান চালিয়ে গেলেও অধরাই থেকে যায় প্রকৃত গডফাদাররা। পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা চকরিয়া পৌরসদরসহ পাড়া-মহল্লায় কারা ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন করে তা জানার পর রহস্যজনক কারণে নিরবতা পালন করে যাচ্ছে। তবে পুলিশ প্রশাসন বলছেন অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু মাদকদ্রব্য ও ইয়াবা উদ্ধার করে অপরাধীদের আটক করা হলেও আইনের ফাক-ফোঁকর দিয়ে আটককৃতরা ৩/৪মাসের ব্যবধানে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের মাদক ব্যবসায় আরো বেপরোয়া হয়ে দাপটের সহিত মাদক ব্যাবসায় রমরমা পরিসরে বিস্তৃতি ঘটে। তারমধ্যে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সোসাইটি পাড়ার গুটি কয়েক নারী ইতিমধ্য বেশ কয়েকবার জেল ফেরত আসামী। তাদের বিরুদ্ধে ৭/৮ টি মাদক মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন উঠতি বয়সের যুবকদের প্রলোভন ও প্রশাসনের অনেক লোককে প্রমের ফাঁদ বসিয়ে আড়ালে থেকে বেপরোয়া গতিতে অবৈধ মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জনসমাজ তা নিয়ে গুন্জনের শেষ নেই।
বিশেষ করে চকরিয়া পৌরসদরসহ ও আশপাশের এলাকা সমুহে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ইয়াবা বিকিকিনির নিয়মিত হাট বসে। সদরের ফুটপাত, ফলের দোকান, বিড়ি সিগারেটের দোকান, ফুটপাতের রাস্তা ও মার্কেটের অলিতে গলিতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর রয়সের অর্ধশতাধিক যুবক প্রকাশ্যে এসব মরণ ঘাতক ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত রয়েছে।
চকরিয়া পৌরসদরের চিরিঙ্গা বাস ষ্টেশন,মাষ্টার পাড়া, হালকাকারা বটতলী, মৌলভীরচর, জনতা মার্কেট, বটতলা, ঘনশ্যামরাজার, চৌমহনী, হিন্দুপাড়া, সবুজবাগ আবাসিক, নিরিবিলি আবাসিক, বিজয় মঞ্চ সংলগ্ন এলাকা, ফুলতলা, বাসটার্মিনাল, ভাঙ্গারমুখ, মৌলভীরকুম, ভেন্ডীবাজার, মগবাজার, কোর্ট সেন্টার, থানা সেন্টার, থানা রাস্তার মাথা, তেলীপাড়া, কসাইপাড়া, ফুলতলা, হিন্দুপাড়া, ওয়াপদা সড়ক, কাঁচাবাজার সড়ক, চিরিঙ্গা পুরাতন বাসষ্টেশন, পুরাতন এস আলম কাউন্টারসহ পৌরসদরের ছোট বড় অর্ধশতাধিক মার্কেট ও সড়কের অলিতে গলিতে চলছে খুচরা ইয়াবা ব্যবসা।
এদিকে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করেছেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বেশ কিছু সংখ্যক অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে গত ২৩ মে’১৮ইং চকরিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে অন্তত ৬টি মামলাসহ গত ১লা রমজান (১৮মে) থেকে ১৬টি মামলা রুজু করে ধৃত আসামীদের আদালতের মধ্যে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এছাড়াও চালান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুদ্দীর মুহাম্মদ শিবলী নোমানের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে জুয়াড়ীসহ অন্তত ১৫জন অপরাধীকে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তার বিশেষ নির্দেশনায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: ইয়াছির আরাফাত, এস আই আমিনুল ইসলাম, এসআই আলমগীর, এসআই অপু বড়–য়া, এস আই এনামুল হক, এস আই অরুণ কুমার চাকমা, এস আই সুকান্ত চৌধুরী, এস আই জুয়েল চৌধুরী, এস রুহল আমিন, এস আই আবদুল খালেক, এটি এস আই আবদুল হাকিম এবং এ এস আই শাহাদাত হোসেন, এ এস আই জুয়েল রায়, এ এস আই পলাশ বডুয়া, এ এস আই কামাল, এ এস আই নুরে আলম, মহিলা এ এস আই মিটু রানী পালসহ সংগীয় পুলিশদল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে চকরিয়া পৌরসভার চিরিংগা ভরামুহুরী হিন্দু পাড়া এলাকা থেকে দেশীয় চোলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম বিমল কর (৪০), পান্না কর (৩৫) ও কমল কর (৩৬) কে আটক করেছে। এনিয়ে এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৫৩/২৮২ দায়ের করেন। উপজেলার ড়ুলহাজারা রংমহলস্থ হাতি ফকির পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা মো.রুবেল (২১) আটক করে। সে ওই এলাকার বদিউল আলমের পুত্র।এনিয়ে এসআই আবদুল মালেক বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৫৫/২৮৪ দায়ের করে। উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সুরাজপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল আমিন প্রকাশ মনুর আলম (৪৮) এবং রামু ঈদগড় এলাকার আবদুর রহিম (৩৫) পিতা মৃত সৈয়দ আহমদকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে এসআই অপু বড়–য়া বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৬৬/২৯৫ দায়ের করে। উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার মাদক বিক্রেতা হাসিনা বেগম (৩২) স্বামী মো: কালু ও মৃত গুরা মিয়ার পুত্র মো: কালু (৩৫) কে মাদকসহ আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে এসআই অরুন কুমার চাকমা বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৬৭/২৯৬ দায়ের করেন। চকরিয়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া গ্রামের ফরিদুল আলম (প্রকাশ ফরিদ, ২১) পিতা মৃত কামাল মেস্ত্রীকে ইয়াবাসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে এসআই জুয়েল চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৬৮/২৯৭ দায়ের করে। উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্বপাহাড়িয়া পাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিন (৫৫) পিতা মৃত ছিদ্দিক আহমদকে মাদকসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে এসআই সুকান্ত চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৭০/২৯৯ দায়ের করে। উপজেলার ডুলাহাজারা রংমহল এলাকা থেকে নুরুল আবছার (৩০) পিতা ফয়েজুর রহমানকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৭১/৩০০ দায়ের করে। চকরিয়াস্থ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল (১৯) পিতা মো: শামীম হোসেন, সাং উপশহর সেক্টর-২, ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার কার্যালয় উত্তরা ঢাকাকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে এটিএসআই আবদুল হাকিম বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৬৯/২৯৮ দায়ের করেন। উপজেলার খুটাখালী গর্জনতলী এলাকা থেকে মো: আবদু শুক্কুর (২৮) পিতা সোনা মিয়াকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে। চকরিয়াস্থ হাইওয়ে মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে আলী আজগর (১৯) পিতা রজব আলী, সাং পিরোজপুর, ৩নং ওয়ার্ড পিরোজপুরকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী জড়িত মো: কাজল (৪৫) পিতা মৃত ছিদ্দিক আহমদকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে এসআই অপু বড়–য়া বাদি হয়ে মামলা নং ৬২/২৯১ দায়ের করেন। উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছাইরাখালী গ্রামে খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা হাবিবুর রহমান (২৭) পিতা জাকের আলমকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে এসআই অপু বড়–য়া বাদী হয়ে মামলা নং ৫৭/২৮৬ দায়ের করেন। চকরিয়া পৌরসভার সোসাইটি পাড়া গ্রামের খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা মো: খোকন (৪৭) পিতা মৃত মেহের আলীকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা নং ৪৯/২৭৮ দায়ের করেন। পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের ঘনশ্যামবাজার এলাকার আবুল কালাম (৪৮) পিতা মৃত নজির আহমদকে মাদকসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে এসআই অপু বড়–য়া বাদী হয়ে মামলা নং ৫২/২৮১ দায়ের করেন। মহাসড়কে গাড়ী তল্লাসী চালিয়ে মো: আনোয়ার হোসেন (৪৫) পিতা মৃত মীর হোসেন সাং জগন্নাতপুর চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লাকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৪৮/২৭৭ দায়ের করেন। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো: জসিম (৩২) পিতা আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা নং ৪৭/১৭৬ দায়ের করেন। চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সোসাইটি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে মো: নুরুল হক (৩৭) পিতা আবুল হোসেনকে মাদকসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে এসআই অপু বড়–য়া বাদী হয়ে থানায় মামলা নং ৪৬/২৭৫ দায়ের করে। এছাড়াও চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত জুয়ার আসরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ১০ জন জুয়াড়িকে আটক করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও অভিনব উপায়ে নির্মিত সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী নুরুল আবছার (৩৮) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল এলাকার ফয়জুর রহমানের পুত্রকে আটক করেন পুলিশ। অপর একটি সুত্রে তিনজন আটকের খবর পাওয়া গেলেও অন্যান্যরা সোর্স হিসেবে ছিল বলে পুলিশের দাবী। আদালতের মাধ্যমে জেল তাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের সংশোধিত ২০০৪ এর ১৯(১) টেবিল ৯(ক) অবৈধ মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে মাদকের শেখর মুলোৎপাটনে আরো বড় ধরণের পরিকল্পনা পুলিশের রয়েছে।মাদক ব্যাবসায়ী সে যেই যত বড় নেতা হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।মাদকে বিরুদ্ধে সবসময় অভিযান অব্যাহত আছে থাকবে এতে কোন সন্ধিহান নেই।উল্লেখ্য তিনি চকরিয়া থানা যোগদানের পর উপজেলার আইন শৃংঙ্খলা মিটিংয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেঞ্চ ঘোষনা করেছিলেন।
গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য চকরিয়ার সতেচন মহল দাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: