এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: প্রয়াত বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘাতক পিকআপ ভ্যানের চাপায় নিহত চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ হাসিনাপাড়ার বাসিন্দা পাঁচ ভাইয়ের শোকাহত পরিবারকে দেখতে গেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারী সাংসদ আলহাজ জাফর আলম নিহত পাঁচভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে শোকাহত পরিবার সদস্যদের শান্তনা দেন। নিহত পাঁচভাইয়ের মা মানু বালা শীলকে মাথায় হাত দিয়ে সহমর্মিতা জানান। ওইসময় সাংসদ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থসহায়তাও দেন। সাংসদ জাফর আলম বলেন, নির্মম এই ঘটনাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন। তাঁর কাছে নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের শোকাহত এই পরিবারের পাশে থাকবেন। অতি সহসা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শোকাহত এই পরিবারকে সহায়তা দেবেন।
সাংসদ আলহাজ জাফর আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, সাংসদের একান্ত সচিব আমিন চৌধুরী, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রফিক আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ ফোরকান ছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসি এবং নিহত পাঁচভাইয়ের পরিবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত ৮ ফেব্রুয়ারী ভোরে বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা মালুমঘাট ষ্টেশনের অদুরে বনবিভাগের নার্সারী এলাকায় বেপরোয়া গতির পিকআপ ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের পাঁচ সহোদর অনুপম সুশীল (৪৫), নিরুপম সুশীল (৩৮), দীপক সুশীল (৩৬) ও চম্পক সুশীল (৩৬), স্বরণ সুশীল (২৮) নিহত ও এক বোন হীরা সুশীল (২৭) অপর দুই ভাই রক্তিম সুশীল (৩৫), প্লাবন সুশীল (২৪) গুরুতর আহত হন। হতাহত সবার বাড়ি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ হাসিনাপাড়া গ্রামে। তাঁরা ওই গ্রামের মৃত সরোজ সুশীলের ছেলে-মেয়ে।
এদিকে একসঙ্গে একই পরিবারের পাঁচ ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো তাদের পরিবারে চলেছে আহাজারী। তাদের কান্নায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পাঠকের মতামত: