চকরিয়া প্রতিনিধি ::
চকরিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছে প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি ১২জন প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পরও সংশোধন না হয়ে প্রার্থীদের সমর্থকরা সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানসহ বৈদ্যুতিক খুটি, বাড়ির দেয়াল, দোকান ঘরে পোস্টার সাঁটানো অব্যাহত রেখেছেন। বুধবার বিকেলে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ছয়টি চায়ের দোকান থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।
ওইদিন রাত ৮টার পর একাধিক মাইক নিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মকছুদুল হক চুট্টু ও ছৈয়দ আলমের তিনটি প্রচার গাড়ি জব্দ করে গাড়ি প্রতি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একাধিক মাইক ব্যবহার করার অভিযোগে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম আজাদকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও একাধিক মাইক ব্যবহারের পাশাপাশি গাড়িতে রঙ্গিন পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় থানার এসআই মো.রুহুল আমিনসহ একদল পুলিশ সাথে ছিলেন।
চকরিয়া উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আদায় করতে কাউকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেয়া হবেনা। মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার দুই প্রার্থীর কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের পর ডুলাহাজারা ও রামপুর এলাকার বেশ ক’টি দোকানদারকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে তাদের প্রতিষ্টানে কোন প্রার্থীর পোস্টার না সাঁটাতে।
পাঠকের মতামত: