এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দিনদুপুরে টমটম চালককে ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে টমটম চালক মফিজুর রহমানের কেটে গেছে চোখের কনিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ চক্ষু হাসপাতালে রেফার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনাস্থ সিএনজি স্টেশনে ঘটেছে এ হামলা ঘটনা। আহত মফিজুর রহমান কোনাখালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওমর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় আহত মফিজুর রহমানের স্ত্রী জন্নাতুল শিফা বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এজাহারে একই এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদিনকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
চকরিয়া থানায় জমা দেয়া এজাহারে বাদি জন্নাতুল শিফা বলেন, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান টমটম ইবাইক গাড়ি চালিয়ে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মরংঘোনা সিএনজি স্টেশনে গাড়ি নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওইসময় আগের একটি ঘটনার জেরধরে একই এলাকার জয়নাল আবেদিন ও তাঁর সহযোগিরা এসে হামলা করে স্বামী মফিজুর রহমানের উপর। হামলার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে মফিজুর রহমানের চোখে লাগে। এতে আক্রান্ত চোখের কনিকা কেটে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
বাদি জন্নাতুল শিফা এজাহারে দাবি করেন, হামলার সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর স্বামীর পকেট থেকে নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও তের হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে গেছে। বর্তমানে তাঁর স্বামী পাহাড়তলীস্থ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের বলেন, টমটম চালকের উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাইনি। তবে পরবর্তীতে এজাহার পাওয়া গেলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: