নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় পাশের বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানের সুযোগে ফিল্মী ষ্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশ পরিহিত ৫/৬ অস্ত্রধারীরা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমেই গৃহকর্ত্রীর মাথায় বন্দুক দিয়ে সজোরে আঘাতে রক্তাক্ত করে ছিনিয়ে নিয়েছে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন লামার জেলে পাড়া মোহাব্বত চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দলবদ্ধ ডাকাত দলের প্রহারে গুরুতর অবস্থায় আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আহত গৃহকর্ত্রী জিন্নাত হাবিবা (৪৫) মোহাব্বত চৌধুরীর স্ত্রী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল এহেসান চৌধুরীর ছোট বোন।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় অপরিচিত তিন যুবক অস্ত্রসহ বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাদের সাথে থাকা আরো ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত বাইরে অবস্থান করছিল। প্রথমে তারা গৃহকত্রী জিন্নাত হাবিবাকে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে ছিনিয়ে নেয় স্বর্ণের চেইন ও কানফুল। রক্তাক্ত মায়ের চিৎকার শুনে দুই মেয়ে এগিয়ে এসে তারাও হামলার শিকার হন। এক পর্যায়ে পাশের ঘরে থাকা মোহাব্বত চৌধুরীর ২ মেয়ের আর্ত চিৎকার করতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার বিষয় টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গতঃ ঢেমুশিয়া থেকে এসে ২নং ওয়ার্ডের আর্মি ক্যাম্পের পুর্ব পাশের লামার (জেলে পাড়া) এলাকায় জমি কিনে বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন মোহাব্বত চৌধুরী।
এলাকার সচেতন মহলের অভিমত, চকরিয়া পৌরসভার এই ২নং ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটছে। এখানে চলছে চুরি, ছিনতাই ডাকাতি, হত্যা, পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই, প্রকাশ্যে মাদক ও ইয়াবা বিক্রিসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় জনগণ।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক মঈন উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ওসি সাহেবের নির্দেশে পুলিশ ফোর্স সহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতের পরিস্থিতি পরিদর্শন করি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: