ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গলা ও হাতের কব্জি কেটে ভাইবোনকে হত্যা চেষ্টা

মুহাম্মদ মনজুর আলম. চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়কের পাশর্^বর্তী পাহাড়ি এলাকায় ধরে নিয়ে মো. রিয়াজউদ্দিন (৭) ও রাজু আক্তার (১১) নামে ভাইবোনকে গলা ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ভাইবোন মালুমঘাট মেমোরায়িাল খ্রীষ্টান হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। দূর্বত্তরা রিয়াজ উদ্দিনকে গলা কেটে ও রাজু আক্তােেরর দুই হতের কব্জি কেটে দেয়।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে খুটখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া ঘাটি রাস্তার মাথা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ভাইবোনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীস্টান হাসপাতালে ভর্তি করেন। রিয়াজ উদ্দিন ও রাজু আক্তার খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকার দিনমজুর আবদুচ্ছবির ছেলে ও মেয়ে। বিয়াজ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণী ও রাজু আক্তার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

ইসমত আরা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী নারী বলেন, সকালে আমি রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। এসময় পাহাড়ের ভিতর থেকে গলায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক শিশু বের হয়ে আসে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে পাহাড়ের ভিতরে তার বড়বোনকে কুপিয়ে আহতের কথা জানায়। রক্ত দেখে আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত ভাইবোনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহত শিশুর পিতা আবদুচ্ছবি বলেন, সকাল ৮টার দিকে বাড়িতে ছেলে ও মেয়েকে রেখে আমি ও আমার স্ত্রী মিনু আরা বেগম মিলে ঈদগাঁও বাজারে এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে যাই। সাড়ে ৯টার দিকে এসে বাড়িতে তাদের না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। এক পর্যায়ে বাড়ির অদূরে পাহাড় থেকে আমার ছেলে ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। দূর্বত্তরা আমার ছেলের গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। এবং মেয়ের দুই হাতের কব্জি কেটে দেয়।

তিনি আরো জানান, সম্প্রতি আমি ওই এলাকার আবদুর রহিম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা দিয়ে ২০ কড়া ভিটি জমি ক্রয় করি। নগদ ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে ওই জমিতে আমি বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। জমি পরিমাপ করে দেওয়ার পর বাকি ২০হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল।

গত দুই দিন আগে সে জমি পরিমাপ করে না দিয়ে টাকা চায়। টাকা না দিলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকিও দেয় আবদুর রহিম। বাড়িতে আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আমার ছেলে-মেয়েকে ধরে পাহাড়ে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, কুপিয়ে আহতের ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পাঠকের মতামত: