ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামি পালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, অন্য আসামিদেরও ধরছে না পুলিশ। এতে করে কিশোরীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আসামিরা হলেন শহিদুল ইসলাম (২৪), তাঁর পিতা আবুল কালাম (৫৪), বড় ভাই আবু তালেব (৩০) ও বোন তাজরিয়ান জন্নাত বুলু (২২)। চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্য কৈয়ারবিল গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চকরিয়ার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরীকে গত মাসের ১৯জুলাই সকালে অপহরণ করে শহিদুলসহ কয়েকজন। পরে অজ্ঞাত স্থানে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ওই কিশোরীকে শহিদুলের তাঁর বোনের শ^শুরবাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাজরিয়ান জন্নাত বুলুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং অপহরণ আইনে ওই কিশোরীর বাবা ৮আগস্ট চকরিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় বুলুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে কিশোরীর পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন। মামলা তুলে না দিলে মামলার বাদীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও বুধবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদি ও ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিরা এলাকায় ঘুরছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ধরছেন না। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। মামলা তুলে নিতে আবুল কালাম ও তাঁর ছেলে আবু তালেব প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে আবু তালেব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। হুমকি দিচ্ছি বিষয়টিও সত্য নয়।’

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাদীপক্ষ হুমকির বিষয়টি আমাকে জানাননি। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বাদীকে হুমকির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বাদীর নিরাপত্তা ও আসামি ধরতে পুলিশ কাজ করছেন।’

পাঠকের মতামত: