ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার বদরখালীতে চর্তুথ শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষিত

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চর্তুথ শ্রেণীর এক শিশু ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে ইউনিয়নের নাপিতখালী পাড়া গ্রামে ঘটেছে এ অমানভিক ঘটনা। ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পরিবার সদস্যরা প্রথমে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে নাটের গুরু প্রতিবেশি লম্পট দাদা এলাকা ছেঁেড় পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় লোকজন জানান, বদরখালীর নাপিতখালী পাড়ার ওই শিশু ছাত্রী স্থানীয় আজমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চর্তুথ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। শনিবার বিকালে ওই ছাত্রী বাড়ির অদূরে রুমা নামের এক শিক্ষিকার কাছে প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে যান। রাত আনুমানিক পৌনে আটটার দিকে প্রাইভেট পড়ে সে বাড়ি ফিরছিলো। ওইসময় পথিমধ্যে তাকে একাপেয়ে প্রতিবেশি দাদা সম্পর্কিত লম্পট স্থানীয় এরশাদ আলীর ছেলে আনু মিয়া (৫৫) ওই শিশু ছাত্রীকে একটি নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

শিশুর পরিবার সদস্যরা জানান, ধর্ষিতা ছাত্রী বাড়ি ফেরার পর তার রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকায় কান্নাকাটি করতে থাকে। ওইসময় মা-বাবা কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে প্রতিবেশি দাদা আনু মিয়া ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। ঘটনা শুনেই ছাত্রীর বাবা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান।

পরে সংজ্ঞা ফেরার পর বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রাত ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীর রক্তক্ষরণ দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে শাররীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের রেকর্ড বইতে সেক্স এসল্ট লিখে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে প্রেরণ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খাইরুল বশর। তিনি বলেন শনিবার রাতেই চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি পরিবার সদস্যরা আমাকে অবহিত করে। ওই সময় আক্রান্ত ছাত্রীকে আগে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিই। ওই ছাত্রী সুস্থ হলে এরপর ঘটনার সাথে জড়িত লম্পটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরিবার সদস্যদেরকে বলি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষনের ঘটনাটি আমার জানা নেই। থানায় গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ##

পাঠকের মতামত: