নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় বনবিভাগের পাহাড় কাটতে বাধা দেয়ায় ৫ বনকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ২০-২৫ জন নারী পুরুষ বনকর্মীদের জিন্মি করে রাখে এবং বন্দুক কেড়ে নেয়ার চেষ্ঠা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের কাকারা বনবিটের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বনদস্যুদের হামলায় আহতরা হলেন, কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল হাসান (৩২), বন প্রহরী রুবেল মিয়া (৩৬), জাহেদুল ইসলাম (৩২), ভিলেজার নিজাম উদ্দিন (৪০) ও কলিম উল্লাহ (৪৫)। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কাকারা বনবিটের বিট কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, বিকালে পাহাড়তলী রিজার্ভ বনভুমির পাহাড়ে মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার খবর পেয়ে ৫ বনকর্মী ও তিন ভিলেজারসহ ঘটনাস্থলে যাই।
এসময় মাটি কাটার কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে স্থানীয় বাদশার ছেলে সেলিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী বনকর্মীদের উপর হামলা করে। একপর্যায়ে এক বনকর্মীর বন্দুক কেড়ে নেয়ার চেষ্ঠা করে তারা। বাধা দিলে তাদের হামলায় পাঁচ বনকর্মী আহত হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে একটি ফাঁকাগুলি ছোঁড়া হয়।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের চকরিয়া নিউজকে বলেন, বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে লিখিত এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেয়া হবে।
আটকৃতসহ জড়িত দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আজ রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত আসামী সেলিম বনবিভাগের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে ।
পাঠকের মতামত: