নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার বিকালেও নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক শ্রমিকনেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। শুরুতে তিনি বাড়ির উঠানে বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলাকে নির্বাচনী সাক্ষাত দেন তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদী। ওইসময় তিনি নির্বাচনী এলাকার বর্তমান ও সামনের পরিবেশ, তাঁর সমর্থনে তথা আনারস প্রতীকের পক্ষে চকরিয়া উপজেলার কলাগাছ প্রেমি উত্তাল জনগনের আশা-আঙ্খাকা, নির্বাচনের মাঠে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন এটিএন বাংলার কাছে।
সাক্ষাতকার শেষে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে পৌঁছেন। বিকাল চারটার দিকে তিনি বিএমচর ইউনিয়নে ব্যাপক গনসংযোগ ও জনগনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ গেইটের সামনের স্টেশনে আনারস মার্কার সমর্থনে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী। এরপর তিনি বহদ্দারকাটা স্টেশনে অপর একটি পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে সন্ধ্যার ছয়টার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নে পৌঁছে বিভিন্ন এলাকায় আনারস মার্কার সমর্থনে ব্যাপক গনসংযোগ করেন। পরবর্তীতে তিনি কোনাখালী ইউনিয়নের পুরুইত্তাখালী স্টেশনে নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কার সমর্থনে আয়োজিত একটি পথসভায় বক্তব্য দেন।
চকরিয়াবাসি এবারের নির্বাচনে সর্বশ্রেণীর মানুষের আপনজন হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীকে গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ কলাগাছের সমর্থনে তাকে ভালোবাসার সেই প্রতিদান তাকে দিয়েছেন। জনগনের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া নিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন নির্বাচনী গনংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তফসিল ঘোষনা আগে থেকে উপজেলার প্রতিটি জনপদে নির্বাচনী প্রচারনাকালে সাঈদী যেখানে যাচ্ছেন সেখানে জনগনের ব্যাপক উপস্থিতিতে ঘটছে।
পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমি চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সম্মানিত সকল জনপ্রতিনিধি ভাই-বন্ধুগনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা পক্ষপাতিত্ব পরিহার করে নিরপেক্ষ থাকুন। সংগ্রামী শান্তিপ্রিয় চকরিয়াবাসির মনের ভাষা বুঝুন। জনগনকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন। আপনারা জনগনের প্রতিনিধি, তাদের ভোটে আপনারা বিজয়ী হয়েছেন। তাই বলবো জনগনকে অবহেলা করবেন না।
তিনি ওইসময় জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি সংগ্রামী চকরিয়াবাসি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া নিয়ে জনগনের কল্যানে কাজ করতে ও দুষ্টের দমন করতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। নির্বাচনের মাঠে আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সমর্থন-সহযোগিতা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা জনবিচ্ছিন্ন চক্র পাগল হয়ে গেছে। তাঁরা ভোটের মাধ্যমে বিজয় দেখছেনা। সেখানে জনগনের ভোট ডাকাতির জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে।
সংগ্রাম চকরিয়াবাসি জনবিচ্ছিন্ন চক্রের এই পরিকল্পনা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। তাই প্রিয় চকরিয়াবাসিকে বলবো, আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহঁরা দেবেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে বিজয়ী হলে আপনারা দলমত নির্বিশেষে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ হবেন শাসক, আমি হবো শুধুই আপনাদের সেবক। আমি আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পরিমল বড়–য়া, আমজাদ হোসেন, মতিউর রহমান, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, কোনাখালী আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ লায়েক, চকরিয়া পৌরসভা দুইনম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ শাহাব উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল বসরী, চকক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।##
পাঠকের মতামত: