আতিকুর রহমান মানিক :: পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় কর্মহীন অসহায় মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং কাঁচা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সেনাবাজারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ১০ টায় সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে চকরিয়া উপজেলার আব্দুর রশিদ উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সম্বলিত সেনাবাজারের আয়োজন করা হয়। এসময় দরিদ্র ৫০০ পরিবারের মধ্যে চাউল, আটা, তৈল, লবন, ডাল, ডিম, সেমাই এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। সেনাসদস্যরা সরাসরি দরিদ্র্য কৃষকদের নিকট হতে সবজি ক্রয় করে আয়োজিত সেনা বাজারে নিয়ে আসেন। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের মহতী উদ্যোগ অসহায় মানুষের ঈদ আনন্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
রামু সেনানিবাসে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে কর্মহীন অসহায় এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের ঈদ উপহার হিসেবে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলা হাজরা, হারবাং, কোনাখলী, বদর খালী, চিরিংগা এবং চকরিয়াসহ ৫ টি ইউনিয়ন হতে সেনাসদস্যরা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও হত দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরী করতঃ বিশেষ টোকেন প্রদান করে ৫০০ পরিবার কে সেনা বাজারের মাধ্যমে সাহায্য প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলায় গত ২৪ মার্চ থেকেই মাঠে আছে সেনাবাহিনী। টহল কার্যক্রমসহ করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরন করছেন তারা। নিজেদের রেশন বাঁচিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী কর্মহীন অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর হাতে তুলে দেওয়া ছাড়াও অসহায় দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তাও প্রদান করছেন সেনাসদস্যরা।
এছাড়াও গত ঈদ উল ফিতর এও সেনা বাজার পরিচালনার মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের ঈদ আনন্দে সামিল হন ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা।
ঈদ উল আযহার পূর্বে ১০ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে এমন ঈদ উপহার পেয়ে হত দরিদ্র মানুষগুলোকে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়। এ ধরনের মানবিক সহায়তার জন্য তারা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও দোয়া করেন।
পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য এলাকাতেও সেনাবাহিনীর মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
পাঠকের মতামত: