অনলাইন ডেস্ক :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে। রোববার সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।
ইতোমধ্যেই কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৯০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিসসহ কয়েকটি সংস্থা জরুরি সেবা নম্বর চালু করেছে। সারাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সচিবালয় থেকে জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর ৫৫১০১১১৫ এবং ৫৫১০১২১৭।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ভবনে কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত জরুরি সেবা ও সব ধরনের তথ্যসেবা পাওয়া যাবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার হচ্ছে: ০১৩১৮২৩৪৫৬০ ও ০১৭৭৫৪৮০০৭৫
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উপকূলীয় ১৯ জেলার ১৪৯টি স্টেশনের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যেকোনো জরুরি সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিস বা তাদের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩।
দুর্যোগের আগাম বার্তা জানতে টোল ফ্রি নম্বর চালু রয়েছে ১০৯০। এ ছাড়া, কক্সবাজারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ০১৮৭২৬১৫১৩২।
মোখা মোকাবিলায় কন্ট্রোলরুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯-এই হটলাইন নম্বরে চট্টগ্রামবাসীরা ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৩৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রায় ৭০০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রস্তুত রয়েছেন হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। সব ধরনের সহযোগিতায় মাঠে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
পাঠকের মতামত: