চকরিয়া অফিস::
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনস্থ বন বিভাগের নিযুক্ত বন জায়গীয়দের দখলস্থ , বন জায়গা এখন প্রতিনিয়ত খন্ড-খন্ডে পুরোদমে বেচা-বিক্রি ও নিত্যনৈমিত্তিক ঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচরীদের যোগসাজশে এ কর্মকান্ডে মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেশ কজন বনজাগিদার ও সচেতন মহল থেকে জানা যায় , ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনস্থ ডুলাহাজারা বন বিট ও রিংভং ফাঁসিয়াখালী বন বিটের আওতাধীন বন বিভাগের জায়গায় থাকা সরকারীভাবে নিযুক্ত করা কিছু সাধু বন জায়গীয়দার এবং তাদের ছেলে-সন্তাররা নিজ ভোগদখলস্থ জায়গা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিময়ে নন-বনজায়গীয়দার ও বিভিন্ন এলাকা আগত লোকজনকে খন্ড-খন্ড বন বিভাগের জায়গা বিক্রি করছে। এসব জায়গায় প্রতিনিয়ত ঘর নির্মাণ ও সংরক্ষিত গাছপালা নিধন ও মাটি কাটাসহ দখলযজ্ঞের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
এসব কাজের মধ্যখানে নিরবে পায়দা লুটিয়ে নিতে মরিয়া ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সহ রেঞ্জ কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তাগণ। ফলে এলাকাজুড়ে এমন গুঞ্জনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কথাবার্তার ছড়াছড়ি হলেও টনক-নড়াহীন ভাবে নীরব এ রেঞ্জ কর্মকর্তার।
সূত্রে জানা যায়, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা , নবাগত ২ বনবিট কর্মকর্তাদের অগোচরে অত্র রেঞ্জ কার্যালয়ের অফিস সহকারী ও স্পেশাল মুন্সি জসিম উদ্দীনকে দিয়ে আওতাধীন এলাকাজুড়ে দুর্বল বনজায়গীদারদের মধ্যে যারা সাংসারিক অপারগে খন্ড-খন্ড জায়গা ভোগ দখলে থেকে অভাবের তাড়নায বিক্রি করে তাদের সাথে গোপনে আতাঁত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এ কর্মকর্তা ।
সুত্র আরো জানায় , নাবগত দু’বিট কর্মকর্তা এসব বিষয়ে আপাততে সরাসরি জড়িত না থাকলেও এ রেঞ্জ কর্মকর্তার ভয়ে এখন তারাও ক্রমাগতভাবে জড়িত হচ্ছে বলে জানা যায়। বর্তমানে ডুলাহাজারা রিংভং ফাঁসিয়াখালী বন বিট এলাকাজুড়ে অন্তত কয়েক হাজার বাড়ি রযেছে। বর্তমানে নতুন ভাবে ৫০টির মত পাঁকা দালান দেড় শতাধিক সেমি পাঁকাও ঝুপড়ি বাড়ী নির্মাণকিাজ পুরোদমে চললেও এসব উচ্ছেদের বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার কোন হস্তক্ষেপ নাই।
গোপন সূত্রে জানা যায় , ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং সোয়াজনিয়া দক্ষিণ পাহাড় পাড়ার অত্র ডুলাহাজারা বন বিটের সরকারিভাবে নিযুক্ত বন জায়গীয়দার মৃত বিপনী চন্দ্র দাশের ওয়ারীশ গোপাল দাশ , নেপাল দাশ , সজিব দাশ-রা গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় মালুমঘাট বাজারের গোপাল দাশের কাঁকড়া দোকানে বসে চকরিয়ার তরজঘাটার বাসিন্দা ( প্রবাসী) এক ব্যক্তিকে এর বৈধ বন জায়গীয়দার ওয়ারীশগণ তাদের ভোগদখলে থাকা বসতভিটা থেকে নতুন ভাবে ঘর তৈরীর জন্য ১০শতক ভিটা বনজমি বিক্রি করেছে। প্রতি কড়ার মূল্য ১৫হাজার করে মোট জমি ৪লাখ ৫০হাজার টাকার বিনিময়ে নন-জুড়িসিয়াল ষ্ট্যাম্পের বিনিময়ে দখল হস্তান্তর দলিল মূলে বিক্রি করে দিয়েছে। এ চুক্তি থেকে ২লাখ টাকা দিতে হয়েছে রেঞ্জ কর্মকর্তাও তার অনুগতদের। এ ভাবে প্রতিদিন চলছে বন জায়গীয়দারদের জায়গা বেচা-বিক্রি । ফলে কমিশন হারে পায়দা লুটিয়ে মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করছে রেঞ্জ কর্মকর্তা।
এ দেখে সচেতন মহল বলতে শুরু করেছে রক্ষক যখন ভক্ষকের ভুমিকায় সে খানেত যক্ষা রোগ ছাড়বেনা।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার ও তার অগ্রজদের এহীন কাজ দ্রুত বন্ধ করে বনভুমি রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
পাঠকের মতামত: