ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় করোনার ভয়াবহ রূপ নিতে পারে

আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া ::  কুতুবদিয়ায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এই নিয়ে গত দেড় বছরে কুতুবদিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ১১৫ জনের হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ায় কোভিট ১৯ চিকিৎসার বেড ২৭টি রয়েছে। তার বিপরীতে চিকিৎসক আছে ১৩ জন এবং সেবিকা আছে ৭ জন। গত দেড় বছরে কুতুবদিয়ায় ১ হাজার ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১১৫ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে কুতুবদিয়ায় লাশ দাফনের আগে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বাড়ীতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১০৯৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০৯৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে কম কুতুবদিয়া। এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে, আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৬ জন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ৪২ জন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ৪ জন, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ৩ জন, বড়ঘোপ ইউনিয়নে, ৪১ জন এবং লেমশীখালী ইউনিয়নে ১৮ জন।

এব্যাপারে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র চিকিৎসক রেজাউল হাসান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সোমবার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট ৫ জনকে টেস্ট করে ২ জনের পজিটিভ আসে রিপোর্ট। তবে এ অঞ্চলের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেষ্ট করতে আসছে না।

তাই সবাইকে সচেতন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলতে হবে। নয়তো আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুশিয়ার করেন তিনি।

উল্লেখ, উপজেলার করোনায় আক্রান্ত রোগী সবচেয়ে কম দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন এবং সবচেয়ে বেশি উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন।

পাঠকের মতামত: