নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, বিআরটিএ, ভুমি অফিস ও পাসপোর্ট অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। তারা সহজে কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার নামে লোকজনকে জিম্মী করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব দালালদের সহযোগিতা করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী। যারা দালালদের সাথে চুক্তি করে অবৈধভাবে টাকা আয় করে। এমনই ৪ সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেটকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১৫। এসময় মোট ২০ জনকে জেল-জরিমানা’র পাশাপাশি সর্তক করা হয়।
অভিযান চলাকালিন সময়ে দালাল চক্রের পাশাপাশি ওসব প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ফেলে সরে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবা নিতে আসা লোকজনকে। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, বিআরটিএ, ভুমি অফিস ও পাসপোর্ট অফিসে এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবুল মনসুর ও কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসানের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য এ অভিযান চালায়।
অভিযানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনেক দালালির মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগে মোহাম্মদ ইউনুছকে আটকের পরে ৭ দিনে জেল দেয়া হয়। বিআরটিএ অফিসে গাড়ির লাইসেন্স আর ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে দালালী করার অভিযোগে শাকের আহম্মেদকে ৩০ দিন, মিশন চন্দ্র নার্থকে ১৫ দিনের জেল দেওয়া হয় এবং রুবেল নামে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় বিআরটিএ অফিসকে সর্তক করা হয় দালালদের সাথে যোগাযোগ না রাখতে। ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিতে আসা লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগে শাহ আলম নামে একজনকে ৫ হাজার এবং জসিম উদ্দিন’কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাসপোর্ট অফিসে দালালি করার অভিযোগে সৈয়দ আলম প্রকাশ শিমুল’কে ১০ হাজার টাকা এবং মোহাম্মদ জসিমকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়।
নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবুল মনসুর জানান, গণউপদ্রব বন্ধের নির্দেশের পরেও তা অব্যাহত থাকায় এই অভিযান চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব দালালদের সাথে যদি কোন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগাযোগ থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দালালমুক্ত করতে সারা দেশে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে- তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারও এ অভিযান চলছে। সকাল থেকে ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে জেল-জরিমানা দেওয়া হয়েছে। বাকীদের সর্তক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাঠকের মতামত: