কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি। শুধুমাত্র চকরিয়ায় মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হলেও মূল কাজ এখনো শুরু হয়নি। জেলায় ৮টি মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকার ১০২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদের প্রতিটির জন্য ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও জেলা সদরে একটি ৪ তলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুস্ক মৌসুম হচ্ছে কাজ বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময়। এ সময়ে কাজ শুরু না হলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
এসব মসজিদ হবে দৃষ্টি নন্দন ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী জ্ঞানের চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজার বিভাগ। এ মডেল মসজিদের রূপকার হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণপূর্ত বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এসব মসজিদ হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ইসলামিক স্থাপত্যের ঐতিহ্যমাখা। মসজিদ গুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ইসলামের রীতিনীতি পালন ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়বে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের মাঝে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ৮টি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গণপুর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মডেল মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের কক্ষের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও দ্বিতীয় তলায় থাকছে প্রধান নামাজ কক্ষ ও কনফারেন্স কক্ষ। আর তৃতীয় তলায় থাকছে মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, রিসার্চ সেন্টার, মক্তব এবং ইসলামিক লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন সুবিধা। চতুর্থ তলাতে থাকবে কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, তাহফিজ সেন্টার, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের কক্ষ ছাড়াও অতিথি কক্ষ।
দেশের অন্যান্য জেলায় এসব মসজিদ নির্মাণের কাজ পুরোদমে শুরু হলেও কক্সবাজার গণপুর্ত অধিদপ্তরের খামখেয়ালী পনার কারণে জেলার একমাত্র চকরিয়ায় একটি ফলক উম্মোচন ছাড়া বাকি ৭ উপজেলায় এখনো কাজ শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বর্তমান শুস্ক মৌসুমে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য এ মসজিদ প্রকল্পের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: