নিউজ ডেস্ক, কক্সবাজার :: ভেজাল আচার বিক্রির দায়ে শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার ৭ দোকানকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল ১৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ভেজাল পণ্য জব্দপূর্বক ধ্বংস করা হয়।
লেবেলহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করা দ-নিয় অপরাধ। বিষয়টি জেনেও দীর্ঘদিন ধরে শহরে চলছে এই কারবার। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে দিন-দুপুরে এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান টার্গেট কক্সবাজার শহরে ভ্রমণে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটক।
গতকাল ১৩ নভেম্বর বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে যার সত্যতা পেলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকালের অভিযান পরিচালিত হয় শহরের ভেজাল পণ্য বিক্রির মার্কেট হিসেবে পরিচালিত বাজারঘাটাস্থ জমজম মার্কেট। আদালতের অভিযানের মার্কেটটির ৩ দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি দোকানগুলোতে থাকা বিপুল পরিমাণ ভেজাল পণ্যও জব্দপূর্বক ধ্বংস করা হয়। এ সময় সতর্ক করে দেয়া হয়, অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ করলে আরো কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ভেজাল পণ্য বিক্রেতাদের।
জমজম মার্কেট ছাড়াও শহরের বার্মিজ মার্কেটস্থ আন-নাহার কমপ্লেক্সে পরিচালিত অভিযানে একই অপরাধে মার্কেটটির ৪ দোকানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকালের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জোবায়ের হাবিব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন জানান, কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ ছাড়াও পর্যটন মৌসুমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বার্মিজ মার্কেটে এসে খাদ্যপণ্য কিনে থাকেন। পর্যটকসহ জেলার সর্বসাধারণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌছে দেয়া জেলা প্রশাসন তথা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান জাহিদ খান, জেলা মার্কেটিং অফিসার শাহজাহান আলী এবং বার্মিজ মার্কেট কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: