ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে পর্যটক ও নাগরিকদের দুর্ভোগ: নালার পানি সড়কে, যোগাযোগ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::  কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনে নালা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে গণপূর্ত বিভাগ। নালার মাঝখানে নলকূপ স্থাপন করায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বিদেশি নাগরিকরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলাতলীর সৈকতপাড়া এলাকার ব্লক-এ এর ২ নং সড়কের দক্ষিণ অংশে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ওই ভবনে পানি সরবরাহের জন্য নালা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় নালার পানি রাস্তায় উঠে যাচ্ছে। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকরা। চলাচলে দুর্ভোগের কারণে হোটেলগুলোতে পর্যটকরা অবস্থান করতে চাচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছে হোটেল মালিকরা।

ওই সড়কে হোটেল এলেগ্রু সুইটস, মাসকাট প্লাজাসহ বেশ কয়েকটি ভিআইপি হোটেল আছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অফিসও ওই সড়কেই অবস্থিত। পর্যটকের পাশাপাশি পিআইবি’র পুলিশ সদস্যরাও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ওই সড়কের উত্তর পাশে এবং দক্ষিণপাশে দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। উত্তরপাশের ভবনে পানি সরবরাহের জন্য ভবনের ভেতরে গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও দক্ষিণপাশের ভবনে নলকূপ বসানো হয়েছে নালার মধ্যে। পৌর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় গণপূর্ত বিভাগ নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে নালার মাঝখানে নলকূপটি স্থাপন করেছে। হোটেল মালিকেরা বার বার আপত্তি জানালেও কর্ণপাত করেনি গণপূর্ত কর্মীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুম না হলেও রাস্তায় পানি জমে আছে। নালার ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে পর্যটকেরা নাক চেপে যাতায়াত করছেন। হোটেলের সামনে পানি জমে থাকায় বিরক্ত পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা। পর্যটকেরা জানান, এটি একটি পর্যটন শহর। এই শহরে নালার ওপর কীভাবে নলকূপ বসায়! নালার পানির কারণে সড়কে চলাচল করতে না পারা বড় দুঃখজনক। পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগ কক্সবাজারের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এস এম এ জাহিদ অপু চকরিয়া নিউজকে বলেন, নালার জায়গাটি গণপূর্তের। আমাদের জমির ওপর পৌরসভা নালা করেছে। নালা হলেও জমি আমাদের হওয়ায় সেখানে নলকূপ বসানো হয়েছে। এখন নালার পানি কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে সেটি আমাদের বিষয় নয়।

পাঠকের মতামত: