ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের ঈদগাঁহে প্রবাসীদের ঘরে ঘরে অভিযান, জরিমানা ও ঘর কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁহ, কক্সবাজার :: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহে অবশেষে সদ্য বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ঘরে ঘরে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।এতে নগদ জরিমানা আদায় ও ঘর কোয়ারেন্টাইন ঘোঘণা করা হচ্ছে। ২৬ মার্চ(বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঈদগাঁহ ইউনিয়নে দক্ষিণ মাইজ পাড়া থেকে শুরু করা অভিযানে ও-ই এলাকার সৌদি ফেরত প্রবাসী আলী আকবর, পিতা মৃত আবদুল গণিকে ঘরের বাইরে ঘুরা ফেরার কারণে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১০ দিনের জন্য তার ঘরকে(৫ এপ্রিল পর্যন্ত) কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করেন এবং অপর প্রতিবেশী প্রবাসী শিমুল,পিতা মৃত মোস্তাক আহমদ প্রকাশ মোতাহের দেশে ফিরে ঘরের বাইরে না যাওয়ায় তাকে জরিমানা না করলেও আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার ঘরও কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদউল্লাহ মারুফ। এসময় সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মরণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষার স্বার্থে সরকার সদ্য বিদেশ ফেরতদের ১০ দিন টানা ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দিলেও বৃহত্তর ঈদগাঁহ’র ৫ ইউনিয়নে সহস্রাধিক প্রবাসী ঘরে ফিরলেও তারা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে অবাধে এলাকায় চলাফেরা করাতে লাখো জনগোষ্ঠী চরম করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।দেরিতে হলেও প্রশাসন অভিযান শুরু করাতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।তবে তারা সকল প্রবাসীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়ে বলেন,স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের অবহেলার কারণে সদ্য ফেরত প্রবাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতে পারছে বলে অভিযোগের তীর ছুড়েন।প্রয়োজনে তদন্ত পূর্বক জড়িত জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মরণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে কঠোর হস্তে সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী প্রবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,কক্সবাজারে একমাত্র করোনা ভাইরাস রোগি শনাক্ত হয় সদ্য সৌদি ফেরত মুসলিমা আক্তার নামের এক বৃদ্ধ মহিলার। যার স্থায়ী ঠিকানা চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া এবং বর্তমান বসবাস কক্সবাজার পৌর শহরে।তার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পর তাকে ইতিপূর্বে চিকিৎসাকারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডজনাধিক ডাক্তার, নার্সকেও আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ঐ রোগী উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।এ ঘটনার পর পুরো কক্সবাজার জেলা জুড়ে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পাঠকের মতামত: