দেশের বৃহৎ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তার সহচর কওমিনিউজ.কমের সম্পাদক মাওলানা আশরাফুল আলম এ খবর নিশ্চিত করেন। আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে বেফাক সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মুফতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, আবদুল জব্বার অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ও কিডনির রোগে ভোগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২ নভেম্বর তাকে খিলগাঁও খিদমাহ জেনারেল হাসপাতাল থেকে হলি ফ্যামিলিতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটায় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত ১১টায় তাকে আইসিওতে নেওয়া হয়।
সাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, বৃহস্পতিবার তাকে দেখতে গিয়েছিলেন, বেফাকের সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, কওমীনিউজ সম্পাদক মাওলানা একেএম আশরাফুল হক।
আবদুল জব্বারের জানাজা বাদ এশা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে অনুষ্ঠিত হবে। দাফনের স্থান এখনও নির্ধারণ হয়নি বলে জানান মাওলানা আশরাফ। তিনি বলেন, ‘হজুরের ইচ্ছে অনুযায়ী নিজের ক্রয়কৃত ও গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার সহবতকাঠি গ্রামে মাদ্রাসার পাশে দাফনের ব্যবস্থা করা হতে পারে। এ বিষয়টি তার ছোট ভাই সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে জানতে পারি।
মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর মৃত্যুতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামা ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শোক প্রকাশ করেছে।
আবদুল জব্বার ১৯৬১ সালে রাজধানীর বড়কাটারা মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাস করেন। তিনি ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও করেন। পরে যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং সেখানে কিছুদিন শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। বেফাকে যোগদানের আগে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন কওমি মাদ্রাসার এ আলেম।
পাঠকের মতামত: