ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

‘ঐশ্বরিক আগুন’ শেখ মুজিব

Mozib-large20150811115539_1অর্পন বড়ুয়া :

১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃসংস ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে প্রথম যেই মিছিলটি বের হয়; সেটি ছাত্র ইউনিয়নের। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এ কারনে আমি ছাত্র ইউনিয়নের একজন কর্মী হিসেবে গৌরববোধ করি। বিশ্ব সংগ্রামের ইতিহাসে লেনিন, রোজালিনবার্গ, গান্ধী, নকুমা, লুমুমবা, ক্যাস্ট্রো ও আলেন্দের সঙ্গে মুজিবের নামও উচ্চারিত হবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় যুগ যুগ ধরে।

“ আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়। ” বিগত বিংশ শতাব্দীর জীবন্ত কিংবদন্তী কিউবার সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। খুব সম্ভবত ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় জোট-নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সাথে এ মহান কমিউনিস্ট নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল।

সদ্যপ্রয়াত ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ভাষায় বঙ্গবন্ধু নিজেই ছিলেন ‘ঐশ্বরিক আগুন’ এবং তিনি নিজেই সে আগুনে ডানা যুক্ত করতে পেরেছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে ছিলেন এক ঐতিহাসিক ক্ষণজন্মা মহান পুরুষ। তাই অনন্য সাধারণ এ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক, এমনকি শত্রুরাও উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন তাঁর ব্যক্তিত্ববোধ ও নেতৃত্বের।

বাঙালি জাতির সব হারাবার এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। শেখ মুজিব বেঁচে থাকুক মানুষের হৃদয়ে-মননে-চিন্তায়-গবেষণায়।

পাঠকের মতামত: