ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

কাভানিহীন উরুগুয়ের আক্রমণ জমল না এতটুকু। একক নৈপুণ্যের দর্শনীয় ফুটবল বাদ দিয়ে ফ্রান্স খেলল দলগত কার্যকরী ফুটবল। তাতে সেই গতিময় এমবাপের দেখা না মিললেও ফ্রান্স পেয়েছে ২-০ গোলের সহজ জয়। গ্রিজম্যান একটি করিয়েছেন, আরেকটি নিজে করেছেন।

১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এদিন প্রথমার্ধে ৬১শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণ করে। এক গোলে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি ২৫৬টি পাস খেলে তারা। উরুগুয়ের ডিফেন্ডাররা এমবাপেকে খুব একটা জায়গা দেননি। তাকে চোখে চোখে রাখার দিনে ফ্রান্সের প্রথম গোলটি আসে ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের মাথা থেকে। দ্বিতীয় গোলটি দ্বিতীয়ার্ধে, গ্রিজম্যানের দূরপাল্লার শট উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মাসলেরার হাত ফসকে জালে জড়ায়।

১৫তম মিনিটে ম্যাচের অন্যতম সহজ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপে। বক্সের ভেতর বেঞ্জামিন প্যাভার্ডের পাঠানো ক্রসে অলিভার জিরৌদ হেড করে এমবাপেকে বল দেন। এমবাপের পাশে কেউ ছিল না। গোললাইন থেকে চার গজ দূরে দাঁড়িয়ে নেয়া এই হেড জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি।

৩৯তম মিনিটে ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বক্সের ডানদিকে ফ্রি-কিক ফায় দলটি। শট নিতে আসেন গ্রিজম্যান। শট নেয়ার সময় উরুগুয়ের ডিফেন্ডারদের বিভ্রান্ত করেন। একটু থেমে দ্বিতীয় দফায় শট নেন। জটলার ভেতর থেকে লাফিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ভারানে।

৪৪তম মিনিটে উরুগুয়ের দারুণ একটি সুযোগ হাতাছাড়া হয়। বক্সের ভেতর থেকে মার্টিন কাসেরেসের শক্তিশালী হেড ডানদিকে ডাইভ দিয়ে একহাতে সেভ করেন ফ্রান্স গোলরক্ষক। ফিরতি বল আসে গোললাইনের খুব কাছে থাকা গডিনের কাছে। তিনি জোরের উপর মারতে গিয়ে উড়িয়ে মারেন।

উরুগুয়ে-ফ্রান্স বিশ্বকাপে এই নিয়ে চতুর্থবার মুখোমুখি হল। কিন্তু নকআউট পর্বে এই প্রথম। দুই দল ২০০২ এবং ২০১০ সালে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়। দুটি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

এদিন দ্বিতীয়ার্ধের ৬১তম মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে ফ্রান্স। বক্সের বাইরে বাঁদিক থেকে চকিত শট নেন গ্রিজম্যান। উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মাসলেরা লাইনেই ছিলেন। জোরালো শট দুই হাত দিয়ে পাঞ্চ করতে যান। ঠিকমতো হয়নি। হাত ফসকে বল চলে যায় জালে। এই আসরে এটি তার তৃতীয় গোল।

ফ্রান্স বাকিটা সময় ‘নিরাপদ ফুটবল’ খেলেছে। প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে বেশি সময় কাটিয়েছে দলটি। কখনো কখনো গোলমুখে শট না নিয়ে নিজেদের পায়ে বল ঘুরিয়ে সময় পার করেছে তারা।

পাঠকের মতামত: