আতিকুর রহমান মানিক :: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ফের অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকায় বাজার তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় ঈদগাঁও বাস স্টেশন ও দরগাহ গেইট এলাকার মুদির দোকান, কাঁচা মালের আড়ত, রেস্টুরেন্ট এবং গ্যাসের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এসময় ঈদগাও বাস স্টেশনের দক্ষিন পার্শ্বে দরগাহ গেইট এলাকার মেসার্স মক্কা এন্টারপ্রাইজ কে মূল্য তালিকা না রাখা, বিক্রয় রশিদের কার্বন কপি না রাখা, মেয়াদউত্তীর্ন ফায়ার লাইসেন্স, অনুমোদিত স্থানের চেয়েও বেশি স্থান নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করা সহ বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, এসময় ব্যবসায়িদের স্বাস্থবিধি মেনে চলা, খাবারের মান উন্নয়ন, খাবারে কোন প্রকার নিষিদ্ধ পন্যের ব্যাবহার না করা, মূল্য বেশি না রাখা, এবং আগত অতিথিদের সাথে শোভন আচরন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি ।
অভিযানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন ঈদগাঁও তদন্তকেন্দ্রের এক দল পুলিশ সদস্য।
উল্লেখ্য, গত শনিবারও (১৯ সেপ্টেম্বর) ঈদগাঁও বাস স্টেশন ও ঈদগড় রোডের মাথায় বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত টীম।
বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতির দায়ে এসময় ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এলাকাবাসী জানান ঈদগাঁও বাজার, বাসস্টেশন ও বাঁশঘাটা এলাকার সব হোটেল রেষ্টুরেন্ট সমূহে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী করা হচ্ছে। এসব হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ চরম নোংরা ও দুর্গন্ধময়। নোংরা পরিবেশে রান্নকৃত খাবারও রাখা হয় খোলা ডালায়। এতে রাস্তার ধুলাবালি ও রোগজীবানু মিশে দুষিত হচ্ছে এসব খাবার। এ ছাড়াও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টেষ্টিং সল্ট ও অননুমোদিত দ্রব্য ব্যবহার করে তৈরী পঁচা ও বাসী খাবার বিক্রি করা হচ্ছে এসব হোটেলে।
বাজারের প্রধান সড়কের হোটেল নিউ ষ্টার, পুবানী হোটেল, হারুন ভাতঘর, কিচেন প্লাস, বাঁশঘাটা রোডের শাহেনা হোটেল ও বাস ষ্টেশনের ভাই ভাই হোটেলসহ সব হোটেলেই একই অবস্হা বিরাজ করছে ৷ আর এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
পাঠকের মতামত: