ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে দাখিলের কেন্দ্রে ২ শিক্ষক বহিস্কার, পুলিশের লাঠিচার্জ

eidgha_1মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:

ঈদগাঁওতে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে পুরাতন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের ঘটনায় ২ শিক্ষক বহিষ্কার হয়েছেন। ক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লাটি চার্জ করে পুলিশ। ২ ফেব্্রুয়ারী ককসবাজার সদরের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র-২ তথা আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সুত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার দেশব্যাপী দাখিল ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। মাদ্রাসায় দাখিলে প্রথম পরীক্ষা ছিল কোরআন মজীদ। যথারীতি পরীক্ষা শুরুর পর উক্তকেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের প্রথমে নৈর্ব্যক্তিক উত্তর পত্র দেয়া হয়। পরে দেয়া হয় সৃজনশীল প্রশ্নপত্র। কিন্তু কেন্দ্রের ৩ ও ৬ নম্বর হলের শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র থেকে উত্তর লিখতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে। অনেকে ঐ প্রশ্নপত্র থেকে তাদের জানা উত্তর খাতায় লিখেও ফেলে। এর মধ্যে কিছু ছাত্র তাদের দেয়া প্রশ্নপত্র বিগত ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বলে হলে দ্বায়িত্বরত শিক্ষকদের জানালেও কেন্দ্র কর্র্র্র্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেননি। এভাবে র্দীঘ সময় অতিবাহিত হয়। এক পর্যায়ে পরীক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষ অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশ্নপত্র যাচাই শেষে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের প্রশ্নপত্র দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত অভিভাবকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে অভিভাবক-পরীক্ষার্থীরা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে এসআই দেবাশীষের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, দাখিলের মত গুরুত্বপুর্ন পাবলিক পরীক্ষায় এ অবেহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব, সহ-কেন্দ্র সচিব ও হলসুপার দায়ী। পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তারা। অভিযুক্ত কেন্দ্র সুপার মমতাজুল উলুম ফরিদিয়া আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং কেন্দ্র সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কেন্দ্র সচিব আলমাছিয়া মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হেফাজত উল্লাহ নদভীকে মোবাইলে বারবার রিং দিয়েও পাওয়া যায়নি। সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দু’শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: