ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অবহেলিত কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড, বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভাঙাচোরা সড়কের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। কক্সবাজার পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, উপ-সড়কের বর্তমান অবস্থা এতই খারাপ যে, যানবাহন চলাচল দূরের কথা হেঁটে চলাচলেরই অবস্থা নেই।

কক্সবাজার পৌর পরিদের মেয়াদ ৩ বছর চললেও পূরণ হয়নি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি। তিন বছরে ত্রাণ ও ভাতা বিতরণ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড।

কক্সবাজার পৌরসভার হাঙরপাড়া, পশ্চিম টেকপাড়া, পূর্ব টেকপাড়া, মধ্যম টেকপাড়া, উত্তর টেকপাড়া, জনতা সড়ক, আমেনা খাতুন স্কুল সড়ক, বার্মিজ স্কুল রোড, সিকদার মহল, পুরাতন ম্যালেরিয়া অফিস রোড, কবি নজরুল সড়ক, পেশকার পাড়া, কুমিল্লা পাড়া, চাউল বাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকা নিয়ে বৃহত্তর ৪ নং ওয়ার্ড। পৌর পরিষদের নির্বাচনে এখানকার কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম রুবেল উন্নয়নের ফুলঝুড়ি শোনায়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আর তার দেখা মেলেনি এলাকায়। বিগত ৩ বছরে বৃহত্তর এই ওয়ার্ডে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কাউন্সিলর নিজের বাড়ির রোড সংস্কার করলেও বাকি সব এলাকার অবস্থা শোচনীয়। টেকপাড়া চৌমুহনী থেকে চাউল বাজার পর্যন্ত সড়কটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই দশা হাঙরপাড়া, বড় পুকুর, ম্যালেরিয়া রোড, বড় বাজার, চাল বাজার সড়কের। সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় অসংখ্য গর্ত। চাউল বাজার টু টেকপাড়া চৌমুহনী সড়কের বৃষ্টি হলে নালার পানি এসে অস্থিত্ব বিলীন হয় রাস্তার। বৃষ্টি না হলেও গর্তে ২৪ ঘন্টায় পানি জমে থাকে। ফলে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। একই অবস্থা ড্রেইনগুলোর। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ড্রেনে আবর্জনা জমে গেছে। কয়েকটি ড্রেইন পুনঃনির্মাণ করা হলেও অধিকাংশই অবস্থা নাজুক।

বার্মিজ স্কুল রোডের সড়ক ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে মুছে গেছে সড়কের চিহ্ন। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। দেখলে মনে হয় এখানে সড়ক ছিল অর্ধশত বছর আগে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। এতে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে করতে হয় চলাচল।

টেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুছা কলিম উল্লাহ বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যে ৪নং ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। পৌরসভার ভোটের পর এখানে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। সব গলি-উপগলি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। নালার পানি উঠে আসে রাস্তায়। পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে দিন দিন সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে বৃহত্তর এই এলাকা।

৪নং ওয়ার্ডের মতো একই দশা কক্সবাজার পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডেরও।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম রুবেল বলেন, বৃষ্টির পরে সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।

কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ড্রেইন সংস্কারসহ কক্সবাজার পৌরসভায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। একটি সড়কও ভাঙ্গা থাকবে না। বৃষ্টি কমলে সকল সড়কের সংস্কার করা হবে। এক বছরের মধ্যে পাল্টে যাবে পর্যটন শহরের চেহারা।

 

পাঠকের মতামত: