ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, “ভোট ডাকাতি চলছে। আমরা সিইসিকে বলেছি, সব নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দিন। অন্তত একবার কোমর সোজা করে দাঁড়ালে জাতি আপনাকে সমর্থন করবে।”
বুধবার বিকেলে ৯ পৌরসভার ভোটে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বেলা ৩টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, “ফেনীর ছাগলনাইয়ায় রাতেই ভোট শেষ হয়েছে, নোয়াখালীতে দখল হয়েছে সকালেই। সব পৌরসভায় একই অবস্থা।” “বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বরাবরের মতো এবারও ‘দেখছি’ বলে আশ্বাস দেন” উল্লেখ করে নোমান আরো বলেন, “সিইসির স্বভাবজাত জবাব একটাই- আমরা এ অভিযোগগুলো দেখব। বাস্তবতা হচ্ছে- প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশের সহায়তায় পৌরসভার সব কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। সেক্ষেত্রে শুধু একটা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে কী লাভ হবে?”
পৌরসভা ও ইউপির সব নির্বাচন বাতিল করে প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিও জানায় বিএনপি।
নোমান বলেন, “নিরপেক্ষভাবে ভোটে কী ঘটেছে তা তদন্তে আলাদা একটি তদন্ত কমিশন করতে বলেছি। পারলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে ভালো হয়।”
বর্তমান ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আশাও দেখে না বিএনপি। এ অবস্থায় ইসির পদত্যাগ দাবি করেন দলটির নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, “সরকারের আজ্ঞাবহ হলে কিছুই হবে না। এ নির্বাচন কমিশনকে ঘৃণা করি। যেভাবে ভোট ডাকাতি হচ্ছে, শেষ সময় এসে হলেও আপনি সরে দাঁড়িয়ে (পদত্যাগ করে) জনগণের কাতারে চলে আসেন।”
চলমান অনিয়ম, জালিয়াতির বিরুদ্ধে অবস্থানে কার্যত রাজনীতিতে তাদের জয় হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।
আব্দুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, “চেয়ারম্যান, সদস্য পদে পরাজিত হলেও রাজনীতিতে এ নির্বাচনে আমরা জিতেছি। জনগণ এ ভোট ডাকাতি দেখছে, কোনোভাবেই এদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, ভালো নির্বাচনের প্রশ্নই উঠে না। ভোটে অংশ নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক জয় হয়েছে।”
পাঠকের মতামত: