দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের এক ডজন মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ মানব পাচারকারী নুরুল ইসলাম প্রকাশ (বাগু)। আটককৃত শীর্ষ মানব পাচারকারী সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া-কাটাবনিয়া এলাকার ফজল আহমদের পুত্র।
টেকনাফ থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারী বৃহ¯পতিবার দুপুর ২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার এ এস আই কাজী আবদুল মালেকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। নুরুল ইসলাম বাগু অত্র এলাকার একজন শীর্ষ মানব পাচারকারী দালাল ছিল। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ৯টি মানব পাচার মামলা ও একটি হত্যা মামলাসহ সর্ব মোট ১২টি মামলা রয়েছে।
সুত্রে আরো জানা যায়, মানব পাচারের মত ঘৃণ্য কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার অপরাধে ২০১৪ সালে ৪ টি মানব পাচার মামলা রুজু হয়। এর পর ২০১৫ সালে ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে আরো ৫টি মানব পাচারের মামলা রুজু করা হয়। অপরদিকে মানব পাচারের মামলায় জড়িত হওয়ার আগে টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ আরো ২টি মামলা রুজু হয়। এই সমস্ত মামলায় সে দীর্ঘ দিন যাবত পলাতক ছিল। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আটক শীর্ষ মানব পাচারকারী নুরুল ইসলাম বাগুর দীর্ঘ দিন সাগর পথে শত শত সহজ হত দরিদ্র নিরহ মানুষকে মিথ্যা আশ^াস দিয়ে মানব পাচারের ফাঁদে ফেলে মালয়েশিয়া পাচার করেছে দিনের পর দিন। এই সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে সে হয়ে যায় রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। তার কপ্পরে পড়ে অনেক পরিবার হয়ে যায় নিঃস্থ । অবশেষে দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল র্শীষ মানব পাচারকারী নুরুল ইসলাম বাগু।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবদুল মজিদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মানব পাচারের মত ঘৃণ্য কাজে জড়িত হয়ে যারা মানুষকে সর্ব শান্ত করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওয়াতাই আসতে হবে। তা না হলে শীর্ষ মানব পাচারকারীরা যতই শক্তিশালী হউক না কেন তাদেরকে ধরতে আমাদের পুলিশ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাঠকের মতামত: