ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মনখালীতে বি এনপি নেতা বাহদুরের নেতৃত্বে চলছে অবৈধ বালি বানিজ্য

ddddমাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া :::

বিশ্বের দীর্ঘ তম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উখিয়ার উপক’লীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছেপটখালী এলাকার সুন্দর মনোরম পরিবেশকে গলা টিপে হত্যা করে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় ছেপট খালী খালে নির্মিত ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বি এনপি নেতা জোহুর আলম চৌধুরীর ছোট ভাই যুবদল নেতা নামধারী বাহাদুর এলাকার চিহ্নিত বি এনপি জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীদের একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট গঠন করে, স্থানীয় মনখালী বন বিট কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন কে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে নীরবে চালিয়ে যাচ্ছে এ অবৈধ বালি বানিজ্য। বিলীন হচ্ছে অর্ধ শতাধিক মানুষের বসত ভিটা। ধ্বংস করে যাাচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সড়ক ও জনপদ। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কিছু কথিত দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের অবৈধ বালি বানিজ্যর কালু টাকার পাহাড়ের একটি অংশের কাছে জিম্মি হয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তাদেরকে নিরবে সহযোগীতা করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, বি এনপি জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীদের অবাদে বালি বানিজ্যর ফলে গ্রামীন সড়ক ও জনপদ বর্তমানে চরম বিপর্যয়ের মূখে পড়েছে বলেও জানা যায়। উক্ত সড়ক ও জনপদ বিলীন হওয়ার ব্যাপারে এলাকার কেউ মূখ খুলেল ওই সময় তাদের উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন ও অত্যাচার। এলাকার একাধিক ব্যাক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, কেউ যদি তাদের অবৈধ বালি উত্তোলনের ব্যাপারে কথা বলে তাহলে, তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও গুলি করে হত্যার হুমকি ধমকিও দিয়ে থাকে বলে জানা যায়। উক্ত বালি সিন্ডিকেটের অন্যতম গডফাদার ও প্রশাসন ম্যানিজকারী নামে খ্যাত মনখালী গ্রামের মৃত রাহামত শরিফের ছেলে মনখালী এলাকার আতংক যুবদল নেতা বাহাদুর প্রকাশ বালি বাহাদুর, তার চেইন অব কমান্ড কুনার পাড়া এলাকার মৃত নুর হোসনের ছেলে আব্দুল আলীম, মনখালী কোনার পাড়া গ্রামের উমর মিয়া প্রকাশ বাদশার ছেলে নুরু, শীলখালী এলাকার বালি তৈয়ব সহ সিন্ডিকেটের গডফাদাররা স্থানীয় বন প্রশাসন, উখিয়া ভুমি অফিসের কথিত দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের মোট অংকের টাকায় ম্যানেজ করে নিভিগ্নে এ অবৈধ বালি বানিজ্যর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত অবৈধ বালি বানিজ্যর ফলে মনখালী, ছেপটখালী সড়কের যাতায়তের রাস্তা ও ২ শতাধীক বসত বাড়ী বিলীন হয়ে ভাঙ্গনের মূখে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তাই উক্ত বালি কেখোদের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, এরা দেশের আইন কানুন কিছুই মানে না, এরা নিজেই প্রশাসন, নিজেই সব কিছু বলে তিনি দাবী করেন।

######################

উখিয়ায় পুলিশের হাতে ঘর পুড়া মামলার আসামী আটক

উখিয়ার বহুল আলোচিত ঘর পুড়া মামলার অন্যতম হোতা লুৎফুন্নেছা অবশেষে থানা পুলিশের হাতে আটক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া থানার আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের আংতক উপÑপরিদর্শক মশিউল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ী নলবনিয়া নিউ ফরেষ্ট এলাকার মনিয়ার ভাড়া বাসাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত লুৎফুন্নেছা আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজম্মার রাস্তা নামক এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। জানা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়নের হাজম্মার রাস্তা নামক এলাকার মোহাম্মদ আলীর বসত ভিটায় অনুপ্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ১৪ জুন ভোর ৫ টার দিকে তার বসত ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৬ জুলাই মোঃ আলী বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নংÑ২ কক্সবাজার বরাবরে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং Ñ ২১৬। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আটককৃত লুৎফুন্নেছার নেশা এবং পেশাই ছিল দেহ ব্যবসা, ইয়াবা সেবন ও ইয়াবা পাচার। তার জন্য হাজম্মার রাস্তা ও টি এন্ডটি এলাকায় কোন উঠতি বয়সী সুন্দরী যুবতীরা ঘরে থাকতে পারত না। কারন তার সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় বড় ইয়াবা গডফাদারদের সাথে সম্পর্ক। উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মনজয় করতে ও তাদের ইয়াবার কালো টাকা দিয়ে এলাকার উঠতি বয়সী মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে সুকৌশলে তাদের হাতে তোলে দিয়ে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, সে উক্ত টাকা নিয়ে এলাকার নীরহ লোকদের জন্য মিথ্যা অপহরণ, চাদাঁবাজি, ধর্ষন মামলা সহ একাদিক মামলা করে পরে তা আপোষ দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেই বলেও জানা যায়।

সম্প্রতি হাজম্মার রাস্তা নামক এলাকার দানু মিয়ার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা হাওলাদ চাই, সে তার দাবীকৃত হাওলাদ ৫০ হাজার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে তাকে উল্টো মিথ্যা অপহরণ মামলায় জাড়ানোর হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করে বলেও যানা যায়। উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ২২ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ও তার ৫ বছরের মেয়ে কাজল সোলতাকে জোর পূর্বক অপহরণের রেস টেনে বিজ্ঞ আদালতে একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার সিপি মামলা নংÑ ১৬৩৩। বিজ্ঞ আদালতে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ বিকাল ৫ ঘটিকার সময় কক্সবাজার বাস টার্মিনালস্থ নারিকেল বাগানের সামনে থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করেছে মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ঘর পুড়া মামলার আসামী ও মেয়ে কাজল সুলতানা (৫) কে অপহরণ মামলার বাদী লুৎফুন্নেছাকে উখিয়া থানা পুলিশ নিউ ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার সময় অপহরণ মামলার (ভিকটিম) কাজল সুলতানা তার মার সাথে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এতেই বুঝা যায় সে একজন প্রতারক মহিলা, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করাই তার নেশা ও পেশা বলে সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের আসামী আটকের সত্যতা স্বীকার করেন।

পাঠকের মতামত: