পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রীকে। গত ২ফেব্রুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত গৃহবধুর নাম জান্নাতুল খালেদা (২২)। হত্যা কান্ডের ৫দিন পর আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে রের্কড় করতে ওসি পেকুয়াকে নির্দেশ দেন। গত ২৯জানুয়ারী যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে পাষন্ড স্বামী। খবর পেয়ে ভিকটিমের অভিভাবকরা স্বামীর বাড়ি থেকে মুর্মষ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতাল থেকে পেকুয়া নুর ক্লিনিকে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। অবস্থার অবনতি হলে তিনদিন পর তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে ওই গৃহবধু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মছিন্নাকাটা এলাকার বদিউল আলমের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামী সদর ইউনিয়নের আলেকদিয়া পাড়া এলাকার আবুল শামার ছেলে আবু শাহেদকে। চিকিৎসা অবহেলার দায়ে মামলায় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত টিএইচও ডা.মুজিবুর রহমানকেও আসামি করে। অপর আসামিরা হলেন ভিকটিমের শ^াশুরি লায়লা বেগম, ঘটক সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার আব্দু জাব্বার, শিলখালী হাজি¦রঘোনা এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মুফিজুর রহমান, জারুলবুনিয়া এলাকার মৃত.ছৈয়দনুরের ছেলে নুরুল হাকিম, বারবাকিয়া কাদিমাকাটা এলাকার মুহাম্মদ নুর ও টইটং ইউনিয়নের দরগাহমুরা এলাকার নুর আহমদ। মামলা সুত্রে জানা গেছে গত ২৯জানুয়ারী সকালে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্দয় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্বামী। ওইদিন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে তিন দিন পর (২ ফেব্রুয়ারী) চমেকে রেফার করে চিকিৎসক। সেখানে রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে গত দু’বছর আগে জান্নাতুল খালেদার সাথে আবু শাহেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছু দিন দাম্পত্য জীবন সুখে ছিল। কয়েক মাস যেতে না যেতে স্বামী-স্ত্রীর সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। যৌতুকের জন্য প্রায় সময় স্বামী ও শ^াশুর বাড়ির লোকজন জান্নাতুল খালেদাকে মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন চালাতেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পাশ^বর্তী শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন। যৌতুক ও নির্যাতন থেকে বিরত রাখতে আবু শাহেদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন চেয়ারম্যান। ঘটনার দিন একই সুত্র ধরে আবু শাহেদ তার স্ত্রী খালেদাকে নিষ্টুর পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। মামলার বাদি নুরুন্নাহার বেগম জানিয়েছেন আদালত নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড় করতে পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ১১দিন অতিবাহিত হয়েছে। অথচ এখনো পুলিশ মামলাটি রেকর্ড় করেননি। এতে করে খুনিরা আরো অধিক উৎসাহিত হয়েছেন। মেয়ে খুন হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (প্রশাসন) জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় আজ (গতকাল শুক্রবার) মামলা রেকর্ড় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডা.মুজিবুর রহমান জানায় যখন রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয় ওইদিন আমি ছুটিতে ছিলাম। পরে আমার কাছে আনলে আমি চমেক হাসপাতালে রেফার করি। মামলা হলে আইনী প্রক্রিয়া মোকাবেলা করব।
পাঠকের মতামত: