পেকুয়া প্রতিনিধি::
পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৯জন হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাজেদা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতল (চমেকে) নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিন নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকায়।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । নিহত সাজেদা বেগম কাদিমাকাটা এলাকার নুরুল আবছারের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তিনি ছয় সন্তানের জননী। আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত.গোলাম রহমানের ছেলে নুরুল আবছার (৫০), জসিম উদ্দিনের স্ত্রী কাওসার (২৮), আব্দু ছাত্তারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২), আব্দু রাজ্জাকের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম (২০), নুরুল আবছারের মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৭), আব্দু ছালামের স্ত্রী খদিজা বেগম (৪৫), নুরুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩০) ও ছাবের আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩০)। পেকুয়া থানা পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে ছাবের আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আব্দু ছালামের স্ত্রী খদিজা বেগম ও নুরুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে আটক করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে ১০শতক পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে কাদিমাকাটা এলাকার মৃত.গোলাম রহমানের ছেলে নুরুল আবছার ও তার ভাই ছাবের আহমদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে নুরুল আবছার ও তার চার মেয়ে ছাবের আহমদ গংদের দখলীয় জায়গায় কাটা তারের বেড়া তৈরির জন্য যায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল আবছার গংদের ছয়জন গুরুতর আহত হন। অপর পক্ষ ছাবের আহমদ গংদের তিন মহিলাও মারাত্বক আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে নুুরুল আবছারের স্ত্রী সাজেদা বেগমের অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করে। পথিমধ্যে বাঁশখালী উপজেলার গুনগরী নামক স্থানে সকাল ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পেকুয়া থানার এসআই বিমল কান্তি দেব জানায় লাশ এখানো পৌঁছেনি। লাশ আসলে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে প্রেরন করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন মহিলাকে থানা আনা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: