নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::
পেকুয়ায় শালীসি বৈঠকে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় দু’জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজিবাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা হলেন সোনাইছড়ি এলাকার মৃত.আমির হামযার ছেলে আহমদ কবির (৪৫) ও তার ছেলে মহিউদ্দিন (৩০)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে ওইদিন হাজিবাজারে টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের বাড়িতে শালীসি বৈঠক চলছিল। এক শতক বসতভিটার জায়গা নিয়ে আহমদ কবির ও তার ভাই আবু ছৈয়দের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মুলত ওই বৈঠক চলছিল। প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ওইদিন দু’পক্ষের মনোনীত শালীসি প্রতিনিধিদের নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছিলেন। এদিকে দু’ভাইয়ের বিরোধকে কেন্দ্র করে তৃতীয় একটি পক্ষ হঠাৎ বৈঠকে হানা দেয়। জানা গেছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাষ্টার মিজানুর রহমানের ইন্ধনে আবু ছৈয়দ, তার ছেলে আবু ওমর, আব্দু গফুরসহ ৮-১০জনের দুর্বৃত্তরা লাটিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পিতা-পুত্র আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন শালিসী প্রতিনিধিও লাঞ্চিত হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছরওয়ার কামাল চৌধুরী, টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান টইটং ইউপির সাবেক সদস্য কবির আহমদ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বিডিআর জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয়রা। আহমদ কবিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন জানান মাষ্টার মিজান হামলার জন্য তাদেরকে উস্কানি দিয়েছে। তিনি কোন পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন না। আ’লীগের নেতার বাসভবনে বৈঠক পন্ড করতে ওই বিএনপি নেতা এ কান্ড সংঘটিত করেছে। তারা হামলা চালিয়ে আমার পিতা ও ভাইকে মারাত্বক আঘাত করে। এরপর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাজি¦ শাহাব উদ্দিন জানান বৈঠক শুরু হওয়ার দু’-তিন মিনিটের মধ্যে হামলা চালায়। তবে তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ করা হয়েছে। শালীসি বৈঠকে এ হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও অন্যায়। ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: