পেকুয়ায় মৃত.তিন ব্যক্তির নামে জমাভাগ খতিয়ান সৃজিত হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন তহশিল অফিস একপক্ষের কাছ থেকে মোটাংকের টাকা নিয়ে সৃজিত খতিয়ানে মুত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে খতিয়ান সৃজন করে। ওই ঘটনা ফাঁস হলে খতিয়ান সৃজনকারি প্রতারক চক্র তুপের মুখে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদার ঘোনা এলাকায়। তথ্যসুত্রে জানা গেছে সকদারঘোনা এলাকার মৃত.আব্দুল বারির পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ তার আট ছেলে মেয়ে। গত ১৭-১২-১৫ইং তারিখে বারবাকিয়া মৌজায় মৃত.আব্দুল বারির রেখে যাওয়া ওয়ারিশগনের নামে একটি জমাভাগ খতিয়ান সৃজন হয়। যার নং-৩৩৪৭। এদিকে ওই খতিয়ানে মৃত.আব্দুল বারির আট ওয়ারিশেরে নাম অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আব্দুল বারির আট ওয়ারিশের মধ্যে তিন ওয়ারিশ খতিয়ান সৃজনের প্রায় চার বছর আগে মারা যান। পাঁচ ওয়ারিশ জীবিত আছে। অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বারির ছেলে ছৈয়দনুর ও মেয়ে রাজিয়া খাতুন, পুতিলা বেগম খতিয়ান সৃজনের আগে মারা যান। আব্দুল বারির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টন হয়েছে। ওয়ারিশদের পৃথক খতিয়ান ও জমির পৃথক ভোগ দখল দেয়া হয়েছে। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে অনেক ওয়ারিশ মালিকানাও হস্তান্তর করে। এদিকে পৈত্রিক এজমালি সম্পত্তিতে মুল মালিকের নাম অর্ন্তভুক্ত আছে। খতিয়ান ওয়ারিশদের পৃথক হলেও দাগাদির আন্দরে এখনো অনেক দাগ কর্তন হয়নি। আব্দুল বারির ছেলেদের বিক্রিত সম্পত্তি নিয়ে গ্রহিতা ও দাতাদের মধ্যে বহুদাগে সাংঘষিকতা দেখা দিয়েছে। এসবের মধ্যে আব্দুল বারির কিছু ওয়ারিশ পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে নিঃসত্তবানও হন। সম্পত্তির দাতা ও গ্রহিতাদের মধ্যে সম্প্রতি বনিবনা চলছে। জানা গেছে সম্পত্তির কবলা গ্রহিতারা নিঃসত্তবান ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে। ছৈয়দনুর, রাজিয়া খাতুন ও পুতিলা বেগমের কাছ থেকে যেসব দাতা জমি ক্রয় করেছে তাদের জমির কবলা অনিশ্চিত হয়েছে। মৃত.ব্যক্তিদের নামে খতিয়ান সৃজন করে জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে প্রতারনার মাধ্যমে জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করেছেন বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: