ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় কোটিপতি ছেলে করল মার বিরুদ্ধে চুরি মামলা

পেকুয়া অফিস :
পেকুয়ায় এবার কোটিপতি ছেলে করল মায়ের বিরুদ্ধে চুরি মামলা। পৈত্রিক অংশ ও পাকা দালান নিয়ে প্রবাসী ছেলে ও পিতা, মাতার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে পুত্র ও গর্ভধারিনী মাতার বিরোধ চরম আকার ধারন করে। বিরোধকে কেন্দ্র করে রক্তের বাঁধন সেই ছেলে এবার পিতা ও মাতাসহ পরিবারের ভাই-বোন, ভগ্নিপতিদের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি চুরি, লুটপাটসহ মামলা রুজু করে।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে এ মামলাটি রুজু করে। যার নং ২৪০/১৮। এ দিকে কোটিপতি ছেলে তার গর্ভধারিনী মাকে চুরির মামলায় আসামী করেছে এ সংবাদ পেকুয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ খবরে সর্বত্রে তোলপাড়সহ ঘৃনা প্রকাশ পায়।

প্রাপ্ত সুত্র জানায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা গ্রামে পিতা-পুত্রের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে ইসমাইল সৌদি আরবে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছিলেন। তিনি সেখানে ব্যবসা করতেন। এ সুবাধে বিপুল টাকা পয়সার মালিক। সৌদি আরবে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি মুঠোফোন বিকিকিনির দোকানও আছে। ওই ব্যক্তি তার ১ম ছেলে বাদশা মিয়াকে সে দেশে নিয়ে যান। সমুদয় ব্যবসা সহ যাবতীয় কার্যাদি ছেলের মাধ্যমে পরিচালিত হত। বাদশা মিয়া দুরন্ত লোভী। এক সময় পিতাকে তার ব্যবসা থেকে হটিয়ে বিদেশের সব ব্যবসা তার নিয়ন্ত্রনে নেয়। কৌশলে পিতার সে দেশের ব্যবসাসহ যাবতীয় সহায় সম্পদ তার নিয়ন্ত্রনে যায়। এমনকি দেশে বাদশা মিয়া বিপুল জায়গা জমি ও বাড়ি স্থাপনার মালিক হন। আলাদীনের চেরাগ পাওয়ার মত হঠাৎ কোটিপতি হন। বাদশা মিয়ার সাথে তার পিতা-মাতার সম্পর্কের অবনতি হয়। রক্তের সম্পর্ককে পিষ্ট করে ধনের স্বার্থে মন্থর হয়। নির্বোধ ওই ছেলে সমস্ত কিছু চিহ্ন করে মা-বাবার সম্পদকে ঘায়েল করছিলেন। সম্প্রতি বাদশা মিয়া পেকুয়া সদরে পৈত্রিক বসতবাড়ি দখলে নিতে তৎপর। শেখেরকিল্লাঘোনায় ২২ শতকের বসতভিটা আছে। তার পিতা ইসমাইল, ছোট ভাই ইসহাক উদ্দিনসহ বাদশা মিয়ার নামে দলিল সৃজিত হয়। বর্তমানে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন আছে। সেটি তার পিতা বিদেশ থেকে টাকা দিয়ে নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে বাদশা মিয়া দেশে অবস্থান করছেন। পারিবারিক সুত্র জানায়, বাদশা মিয়া ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে এ পরিবারে বিরোধ চরম আকার ধারন করছিল।

বাদশা মিয়ার মা রাবিয়া বেগম জানায়, ছেলে অস্ত্রধারী এনে আমাদেরকে এ বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দখল প্রক্রিয়া চালায়। আমরা বাধা দিয়েছিলাম। ছেলে বড় বেইমান। ১০ মাস ১০ দিন গর্ভধারন করে যে ছেলেকে মানুষ করেছি সে ছেলে এমন অমানুষ হয়েছে বুঝার সক্ষমতা নেই। গ্রাম আদালতে মামলা দিয়েছে। সেখানে আমাকে চুরির আসামী করে। বিদেশে তাকে নিয়ে গিয়েছিল তার পিতা। পিতার সাথে ঘাতকতা করেছে। সব সম্পদ তার অনুকুলে গেছে। দেশে এস, ডি সিটি সেন্টারে দুটি দোকান কিনেছি স্বামীর টাকায়। এখন ওই দুটি দোকান সে দখলের পায়তারা করছে। টাকা দিয়েছি আমি নিজে। এখন শুনেছি তার নামে দলিল করা হচ্ছে। সে কয়েক বছরের মধ্যে অন্তত তিন থেকে ৪ কোটি টাকার মালিক। আমার স্বামীর কষ্টার্জিত সব শ্রমের টাকা তার একক কব্জায়। স্ত্রী আমাকে গালি দেয়। ছেলে দেশে এসে এক মাসের ব্যবধানে তিন বার মারধর করেছে আমাকে। বিএনপির রাজনীতি করে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।

পাঠকের মতামত: