মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
কক্সাবাজরের পেকুয়া উপজেলায় সরকারের রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রকল্পের অধীন আনন্দ স্কুলের এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্দয়ভাে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেছে খোদ বিদ্যালয়ের শিক্ষক! আহত শিক্ষার্থীর নাম কানিজ ফাতেমা (৮)। সে রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝির পাড়া গ্রামে অবস্থিত আনন্দ স্কুলের ৪থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের ইয়াকুব নবীর মেয়ে। আজ ৭ মার্চ সকালে ১০টার দিকে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝির পাড়া আনন্দ স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। আর এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজাখালী মাঝির পাড়া আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা প্রতিদিনের ন্যায় আজ ৭ মার্চ সকালে যথারীতি বিদ্যালয়ে আসেন। শ্রেণী চলাকালীন সময়ে ওই স্কুলের শিক্ষক মৌলনা মোহাম্মদ হোছাইন অহেতুক শিশু শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমাকে চুলের মুটি ধরে টানা হেছড়া মারধর করেন। এক পর্যায়ে লাটি দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধড়ক পেঠায়। শিক্ষকের এহেন পিঠুনি দেখে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং ওই শিশু শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন এসে আহত অবস্থায় কানিজ ফাতেমাকে উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারে গিয়ে দেখা গেছে, কানিজ ফাতেমার পিঠে ও হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসময় কানিজ ফাতেমা বলেন, শিক্ষক মৌলভী মোহাম্মদ হোছাইন কোন কারণ ছাড়াই তাকে মারধর করেছে। এসময় তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে।
এ ব্যাপারে কানিজ ফাতেমার পিতা ইয়াকুব নবী অভিযোগ করেছেন, তার শিশু সন্তানকে স্কুলে অমানবিকভাবে মারধরসহ নির্যাতন করেছে শিক্ষক নামের লম্পট মৌলভী মোহাম্মদ হোছাইন। তার মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনি ইউএনও কাছে অভিযোগ ও থানায় মামলা করবেন।
এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুলের পেকুয়া উপজেলা কো-কোর্ডিনেটর মো. জুনাইদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি জানান, তদন্ত করেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেছে। আমি কোন অপরাধ করিনাই। আমাকে হয়রানী করতেই ১৭ ঘন্টা পেকুয়া থানা হাজতে আটকে রাখা হয়েছিলঅ। আমি এর বিচার চাই।
পাঠকের মতামত: